পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ আজ অর্থাৎ ৭ই জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে শুনানির জন্য উঠেছিল DA মামলা। জাস্টিস হৃষিকেশ রায়ের বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও কনফেডারেশন অফ সেট গনভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদকের দুশ্চিন্তাই সত্যি হয়েছে। সময়ের অভাবে ফের পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে মামলার শুনানি। পরবতী তারিখ দেওয়া হয়েছে মার্চ মাসে। এদিকে এই মামলার রায় দিতে মাত্র ১৫ মিনিট লাগতে পারে বলে মন্তব্য আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর।
DA মামলায় ১৫ মিনিটের বেশি সময় লাগা উচিত নয়
এদিন DA মামলা পিছিয়ে যাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসার পর আইনজীবী জানান, আজ দিনের শেষে DA মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল। কিন্তু মামলার শুনানি হতে সময় লাগবে বলে ধারণা বিচারপতিদের। যদিও এই মামলায় ১৫ মিনিটের বেশি সময় লাগা উচিত নয়। এছাড়া কনফেডারেশনের আইনজীবী আরও জানান, বিচারপতির অবসর গ্রহণের সময় এগিয়ে এসেছে। সেটা ভাবনাচিন্তা করেই মার্চ মাসে পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানানো হয়েছে।
শুনানি পিছোতেই হতাশ রাজ্য সরকারের কর্মীরা
এদিনের শুনানি যে ফের পিছোতে পারে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই। স্বাভাবিকভাবেই খবর প্রকাশ্যে আসার পর হতাশ রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা। এই প্রসঙ্গে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ বলেন, বিগত ২ বছর ধরে সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে DA মামলা। এমন একটা গুরুত্বপূর্ণ মামলা এখনও পর্যন্ত শুনানি না হওয়াটা বেশ হতাশাজনক।
তাছাড়া গতবছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৮% DA বৃদ্ধির ঘোষণা হলেও এবছর অর্থাৎ ২০২৫ এর জানুয়ারিতে তেমন কোনো ঘোষণা হয়নি। যার ফলে হতাশা বাড়ছে রাজ্যে সরকারের কর্মীদের মধ্যে। কারণ কেন্দ্র নির্দিষ্ট সময় DA বৃদ্ধি করে চলায় দিন দিন কেন্দ্র ও রাজ্যের মহার্ঘ ভাতার পার্থক্যও বেড়েই চলেছে।
প্রসঙ্গত, ২৮ নভেম্বর ২০২২ সালে প্রথম ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে ওঠে। এরপর থেকে একাধিবার শুনানির তারিখ পড়লেও রায় ঘোষণা হয়নি। গতবছর নভেম্বর মাসে মমামলা শুনানির জন্য উঠলে ‘এক্সটেন্সিভ হিয়ারিং’ এর প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান বিচারপতি। তবে এবার আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত অপেক্ষা, হয়তো নতুন বিচারপতির বেঞ্চেই নিস্পত্তি হবে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এই ডিএ মামলার।