প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গৃহস্থের বাড়িতে বাড়িতে এখন পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস আনার কাজ করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। ২০২৪ সালের জুলাই মাসের রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে সব মিলিয়ে রাজ্য জুড়ে এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকার পাইপলাইন প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে। প্রথমে দুর্গাপুরে পাইপলাইনের মাধ্যমে রান্নাঘরে পৌঁছেছে রান্নার গ্যাস। এরপর SAIL কোঅপারেটিভ সোসাইটি কমপ্লেক্সে এসেছে এই গ্যাসের লাইন। এমনকি জগদীশপুর থেকে হলদিয়া পর্যন্ত এই গ্যাসের পাইপলাইন পাতা হয়েছে। আর এই আবহে রাজ্যে এবার বাড়িতে বাড়িতে রান্নার গ্যাস হিসেবে পাইপে হাইড্রোজেন পাঠাতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)।
রান্নার গ্যাস হিসেবে হাইড্রোজেন!
গত মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান চেম্বারের তরফ থেকে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে স্পেশাল অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। এদিন তিনি জানান, এবার স্বচ্ছ এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি হিসেবে পাইপের মাধ্যমে রান্নার গ্যাস বিসেবে হাইড্রোজেন পাঠাবার পরিকল্পনা করছে রাজ্য সরকার। শশী পাঁজা এদিন জানান ২০২৩ সালে গ্রিন হাইড্রোজেন সংক্রান্ত একটি নীতি প্রণয়ন করেছিল রাজ্য সরকার। সেই নীতি মেনেই এই পদক্ষেপের কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। এমনকি রাজ্যে লগ্নি সংক্রান্ত নানা বিষয়ে অনেক আলোচনা করেছেন।
কী বলছেন রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী?
এদিন শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা আরও বলেন যে, “পরিবেশবান্ধব শিল্প তৈরির জন্য পুনর্নবীকরণ উৎপাদন উন্নয়ন নীতিও চালু করেছে রাজ্য। যদি কোনও সংস্থা এই ক্ষেত্রে লগ্নি করতে চায় তাহলে সরকার একাধিক সুবিধা দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিষ্ণুপুরের বয়নশিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগরেরা এই ধরনের একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই সময় যে বর্জ্য উৎপন্ন হয়, তা পুনরায় ব্যবহার করে বিভিন্ন শৌখিন জিনিসও বানাচ্ছেন এই শিল্পীরা।”
অন্যদিকে বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি কর্তৃপক্ষ মূল রাস্তায় পাইপলাইন বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করছে। পাইপলাইন গ্যাস চালুর মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে এবার গ্যাসের মিটার থাকবে। পাশাপাশি গ্যাসের বিলেরও ব্যবস্থা থাকবে। এই পরিষেবার জন্য প্রথম গ্রাহকদের ৭১১৮ টাকা জমা দিতে হবে। তার মধ্যে ৭০০০ টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। এরপর যত গ্যাস ব্যবহার করা হবে, টাকার পরিমাণ তার উপর নির্ভর করবে।