প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ২ জানুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন (Nabanna) সভাঘরে প্রশাসনিক বৈঠক এর আয়োজন করেছিলেন। সেখানে রাজ্যের নানা খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছিল। আর সেই আলোচনাতেই উঠে এসেছে সরকারি প্রকল্পের প্রসঙ্গ। তিনি সেই বৈঠকেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে কোনও প্রকল্প আর ফেলে রাখা যাবে না। যে কটা কাজগুলি বাকি রয়েছে, তা এই অর্থবর্ষেই শেষ করে নিতে হবে। আর সেই নির্দেশ পাওয়া মাত্রই সমস্ত জেলায় কাজের রিপোর্ট পাঠিয়েছে জেলাগুলো। আর সেই রিপোর্টেই এবার কাজের অগ্রগতির নিরিখে পিছিয়ে রইল কয়েকটি জেলা।
এখনও খরচ হয়নি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা!
চলতি অর্থবর্ষ শেষ হতে আর তিন মাসও বাকি নেই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ খরচ হয়নি পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের প্রায় ২০০০ কোটি টাকা। খরচের নিরিখে তালিকায় সবচেয়ে পিছিয়ে যে জেলাগুলো রয়েছে সেগুলি হল দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, পুরুলিয়া এবং দুই ২৪ পরগনা। রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের মোট ৫,১৬৬ কোটি টাকার মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩২০০ কোটি টাকার কাজ করতে পেরেছে জেলাগুলি। সেক্ষেত্রে এখনও বাকি ২০০০ কোটি টাকা অর্থমূল্যের কাজ।
পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফে আলাদা বৈঠকের আয়োজন
রাজ্যের সমস্ত জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা। কিন্তু বরাদ্দ হওয়া ৫৩২ কোটি টাকার মধ্যে এখনও ২৫২ কোটি টাকা খরচ করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। যার দরুন বেশ চিন্তিত নবান্ন। এদিকে মুর্শিদাবাদ জেলা পেয়েছিল ৪৯৬ কোটি টাকা, সেখানেও ২৩৭ কোটি খরচ এখনও বাকি। তাই এই পরিস্থিতিতে পিছিয়ে থাকা জেলাগুলিকে নিয়ে পঞ্চায়েত দপ্তরের তরফে আলাদা বৈঠক করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কী কারণে এবং কেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই জেলাগুলিতে প্রশাসনিক কাজগুলো আশানুরূপ ভাবে এগোয়নি, তা নিয়ে এবার খতিয়ে দেখা হবে। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে সঠিক ভাবে সমস্ত প্রকল্প রূপায়ণের কাজ শেষ করার নির্দেশ নবান্নের।
‘সন্তোষজনক’ রিপোর্ট দুই জেলায়
তবে পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা বেশ ভালোভাবে খরচ করেছে বেশ কিছু জেলা। সেই সকল জেলা শাসকদের কাজে বেশ ‘সন্তোষজনক’ রিপোর্টও দিয়েছে নবান্ন। যে সকল জেলাগুলো ভালো কাজ করে এসেছে তার মধ্যে অন্যতম দুই জেলা হল কোচবিহার এবং নদিয়া। এই দুই জেলায় বরাদ্দকৃত অর্থের প্রায় ৮০ শতাংশই খরচ হয়েছে। অর্থাৎ কোচবিহারের মোট বরাদ্দের ৭৮.৮৪ শতাংশ টাকার কাজ হয়ে গিয়েছে। এবং নদীয়ায় ৭৮.৫৬ শতাংশ টাকা খরচ হয়ে হয়েছে।
কিছু দিন আগে ষোড়শ অর্থ কমিশন দেশের সমস্ত রাজ্যে গিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানগড়িয়ার নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল নবান্ন সভাঘরে বাংলার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
ইস্টবেঙ্গলের ধমকেই হল কাজ? অবশেষে ডার্বি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিল মোহনবাগান