প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রথম থেকেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আটকে রাখার অভিযোগ তুলে আসছিল রাজ্য সরকার। শেষে, কেন্দ্রের কাছ টাকা না পেয়ে বাংলার দরিদ্র মানুষদের স্বার্থে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প (Banglar Bari Project) চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পে উপভোক্তাদের বাড়ি তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রদান করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে উপভোক্তাদের। আর এবার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা প্রদানের পালা উপভোক্তাদের। জানা গিয়েছে, পুরো মাত্রায় বর্ষা নামার আগে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে বাকি তিন লক্ষ উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
উপভোক্তাদের টাকা প্রদানের জন্য ভার্চুয়াল বৈঠক
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ঘোষণা করেছিলেন, বাংলার বাড়ি প্রকল্পে মে মাসেই দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে। সেই সূত্রে এখনও পর্যন্ত মোট নয় লক্ষ উপভোক্তাকে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকিদের যাতে দ্রুত টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায়, সেকারণে গত বুধবার, এই মর্মে বাংলার বাড়ি প্রকল্প (Banglar Bari Project) নিয়ে প্রতিটি জেলার প্রশাসনের সঙ্গে ভার্চুয়াল কনফারেন্স করেছেন পঞ্চায়েত দপ্তরের পদস্থ কর্তারা। জানা গিয়েছে, ১২ লক্ষের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ন’লক্ষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে গিয়েছে দ্বিতীয় কিস্তির ৬০ হাজার টাকা।
বাকি ১ লক্ষের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চলেছে বরাদ্দ
বাংলার বাড়ি প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম কিস্তির টাকা পাওয়ার পর লিনটেল পর্যন্ত বাড়ি নির্মাণের কাজ শেষ হলে তবেই উপভোক্তারা দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাবে। সেই সূত্রে তাই ১২ লক্ষের মধ্যে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ উপভোক্তার বাড়ি লিনটেল পর্যন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। আগেই ৯ লক্ষ উপভোক্তা টাকা পেলেও বাকি ১ লক্ষের অ্যাকাউন্টে এখনও টাকা ঢোকেনি। এবার তাঁদের টাকা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। তবে যাঁরা এখনও লিনটেল পর্যন্ত বাড়ি তুলতে পারেননি, তাঁদের দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। এবং জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান! ‘বিশ্বের সর্বোচ্চ রেলসেতু’ উদ্বোধন করতে কাশ্মীর সফরে মোদি
নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ
প্রশাসনিক মহলের মতে, দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পাবেন, এমন উপভোক্তার সংখ্যা সব থেকে বেশি মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তেমনই উপভোক্তার সংখ্যা সব থেকে কম নদীয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। সেখানে দ্রুত কাজ শেষ করতে হলে এবং নজরদারি আরও বাড়াতে আধিকারিকদের নজর দিতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বরে বাড়ি তৈরির জন্য ১২ লক্ষ উপভোক্তাকে আবাসের প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার পালা বাকি দ্বিতীয় কিস্তির টাকা।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |