প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হাতে মাত্র আর কয়েক মাস বাকি। বছর ঘুরলেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তাইতো এখন থেকেই মাটি শক্ত রাখতে ময়দান নেমে পড়েছে শাসক দল থেকে শুরু করে বিরোধীদলগুলি। এমতাবস্থায় রাজ্যের সকল পড়ুয়াদের জন্য নিল এক দারুণ ব্যবস্থা। জানা গিয়েছে এখন থেকে বিনামূল্যে সাধারণ পড়ুয়াদেরও প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতির সুযোগ করে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। অর্থাৎ ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পে বড় বদল আনতে চলেছে প্রশাসন।
কী এই ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্প?
HT বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, মূলত তফসিলি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুঃস্থ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের প্রতিভাকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কারণে যোগ্যশ্রী প্রকল্প চালু করেছিলেন তিনি। তবে সেই প্রকল্পে শুধুমাত্র মেধাবী ছাত্রছাত্রীরাই সুবিধা পেতেন, সাধারণরা নয়। কিন্তু এবার সেই প্রকল্পে এক নজিরবিহীন উদ্যোগ নিতে চলল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চলতি বছর থেকেই রাজ্যে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও এই সুবিধা পেতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি
এই প্রসঙ্গে, যোগ্যশ্রী প্রকল্পের প্রোজেক্ট অধিকর্তা অমিতকুমার কর জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে চলতি বছর থেকে সাধারণ পড়ুয়ারাও যোগ্যশ্রী প্রকল্পের আওতায় আসবেন। সেইমতো যাবতীয় প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এতদিন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তর যোগ্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে সর্বভারতীয় পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। ২০২৪ সালে ১,৪৪০ জন তফসিলি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের পড়ুয়াকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
কাদের জন্য এই সুযোগ?
যোগ্যশ্রী প্রকল্পের সাফল্যের রেকর্ড অনুযায়ী গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে IIT-তে সুযোগ পেয়েছে ১৫ জন পড়ুয়া, NIT- তে ২০ জন এবং সর্বভারতীয় স্তরের মেডিক্যাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ১৬ জন পড়ুয়া। সব মিলিয়ে গত তিন বছরে তফসিলি ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের ৩৬ জন ছাত্রছাত্রী IIT, ১৯০ জন সর্বভারতীয় জয়েন্ট, ১৪২৪ জন রাজ্য জয়েন্ট এবং ৩৪৩ জন নিট অর্থাৎ সর্বভারতীয় মেডিক্যাল পঠনপাঠনে যোগ্যতা অর্জন করেছেন।
আসলে এই প্রকল্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের। শনিবার স্কুল ছুটির পর এবং রবিবার প্রতি জেলায় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের তৃতীয় সেমিস্টারের রুটিন প্রকাশ করল WBCHSE, কবে কোন পরীক্ষা?
কী কী যোগ্যতা লাগবে?
জানা গিয়েছে যোগ্যশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে বছরে মোট ৩৫০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। আর এই ৩৫০ ঘণ্টার মধ্যে ৩২০ ঘণ্টার ক্লাস ও ৩০ ঘণ্টার টেস্ট নেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই প্রশিক্ষণ পেতে হলে পড়ুয়াকে অবশ্যই মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেতে হবে এবং পড়ুয়ার পরিবারের বছরে ৩ লক্ষ টাকার নিচে আয় থাকতে হবে। এইমুহুর্তে সারা রাজ্যে মোট ৫০টি কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দপ্তরের এই উদ্যোগে প্রশিক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থাকে।
এই প্রকল্পের প্রোজেক্ট অধিকর্তা অমিতকুমার কর জানিয়েছেন চলতি বছরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে প্রায় ২ হাজার পড়ুয়াকে। এছাড়াও দফতরের পক্ষ থেকে একাধিক নামী কোচিং সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পাঠ্যসামগ্রী ও রেফারেন্স বই সরবরাহ করা হবে বিনামূল্যে। পাশাপাশি, প্রশিক্ষণকালীন সময়ে প্রতি মাসে ৩০০ টাকা করে ভাতাও দেওয়া হবে প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |