এবার জেলায় জেলায় ‘গতিবেগ শনাক্তকারী ক্যামেরা’, এদিক ওদিক হলেই মোটা চালান

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কলকাতা সহ বিভিন্ন এলাকায় পথ দুর্ঘটনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়ে থাকে কলকাতা পুলিশ। কিন্তু তারপরেও কিছুতেই কমছে না দুর্ঘটনা। খবরের পাতা খুললেই নিত্যদিন কোনো না কোনো দুর্ঘটনা ভেসে আসে। তাই এমন অবস্থায় পথ দুর্ঘটনা কমাতে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে পুলিশ। জেলায় জেলায় দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা এবং স্কুল সংলগ্ন রাস্তায় বেপরোয়া গতি রুখতে স্পিড ডিটেকশন ক্যামেরা (Speed Detection Camera) বসানো হতে চলেছে।

স্পিড ডিটেকশন ক্যামেরা এবার জেলায় জেলায়

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে কলকাতা পুলিশ এলাকা-সহ বিভিন্ন কমিশনারেটের কাছে রাস্তায় ‘স্পিড ভায়োলেশন ডিটেকশন ক্যামরা’ লাগানোর পারমিশন থাকলেও জেলা পুলিশের কাছে তা ছিল না। যার ফলে কেউ বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালেও তাঁর বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেত না। তবে এবার সেই সমস্যা সমাধান হতে চলেছে। বেপরোয়া গতির গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে স্পিড ডিটেকশন ক্যামেরা বসানো হবে। এই ক্যামেরাগুলি রাস্তার শৃঙ্খলা বজায় রাখতেও সাহায্য করবে। কারণ চালকরা যখন জানতে পারবেন যে তাদের উপর নজর রাখা হচ্ছে, তখন গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখবেন তাঁরা।

কাজ কী এই ক্যামেরার?

জানা গিয়েছে, চালক যদি নির্দিষ্ট গতির বেশি গতিতে গাড়ি চালালে সেই গাড়ির নম্বর-সহ কতটা গতিতে তা চলছে, সবটাই রেকর্ড হয়ে যাবে ওই ক্যামেরায় (Speed Detection Camera)। আর এই রেকর্ড নথিবদ্ধ থাকবে জেলা ট্র্যাফিক পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। যদি কোনো গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চলে তাহলে সেই গাড়ির নম্বর মালিকের কাছে মেসেজের মাধ্যমে পৌঁছে যাবে। তবে শুধু গাড়ির নম্বর নয়, গাড়ির ছবি-সহ কখন, কোথায়, কত গতিতে আইনভঙ্গ করেছে, তার বিস্তারিত তথ্য চলে যাবে গাড়ির মালিকের কাছে। এরপর নিয়ম মাফিক কাটা হবে চালান।

দারুণ উদ্যোগ পুলিশকর্তাদের

জেলা পুলিশের চালু করা এই নিয়মে থাকবে যে কোনও ছোট, বড় গাড়ি-সহ মোটরবাইকও। ট্র্যাফিক পুলিশের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত গতি লঙ্ঘন করলে ওই ক্যামেরায় ধরা পড়ে যাবে সবটা। ইতিমধ্যে ভবানী ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত কমিশনারেট এলাকা বাদ দিয়ে জেলাগুলিকে ৩০টিরও বেশি ওই বিশেষ ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে।

রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী দিনে আরও ৩০টি ক্যামেরা দেওয়া হবে। এক পুলিশকর্তা জানান, ওই ব্যবস্থা কার্যকর হলে বেপরোয়া মোটরবাইক এবং গাড়ির গতি রুখে দেওয়া সহজ হবে। এবং ড্রাইভারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ৩০ সেপ্টেম্বর ডেডলাইন, ১০০ ও ২০০ টাকার নোট নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত RBI-র

প্রসঙ্গত, একাধিক নিয়ম জারি করার পরেও রাজ্য পুলিশকর্তাদের দাবি, রাজ্য এবং জেলা সড়কে বিভিন্ন জায়গাতেই বেপরোয়া গতিতে গাড়িচালানোর অভিযোগ উঠে আসছে। তাও বা দিনের বেলায় ট্র্যাফিক পুলিশের উপস্থিতিতে বেপরোয়া গতিসম্পন্ন গাড়িগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ থাকলেও রাতের দিকে ট্র্যাফিক পুলিশের অনুপস্থিতির তা সম্ভব হয় না। তাই এ বার সেই বেপরোয়া গতি রোখার জন্যই এই উন্নত প্রযুক্তিসম্পন্ন ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।