শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় এগোচ্ছে ততই বাংলা তথা সমগ্র দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় একের পর এক পরিবর্তন এসেই চলেছে। কখনো প্রশ্নের প্যাটার্ন তো কখনো সিলেবাস, পরিবর্তন হয়েই চলেছে। তবে এবার বাংলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলিতে বিরাট পরিবর্তন আসতে চলেছে। এবার ছুটি নিয়ে বৈষম্য দূরে করতে বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে শিক্ষা দফতর। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আপনার সন্তানও কি স্কুলে পড়ে? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর চোখ রাখুন।
স্কুলের ছুটি নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ
এমনিতে এখন উৎসবের মরসুম চলছে। কয়েকদিন আগেই গিয়েছে দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো। আবার একদিনে আগেই গিয়েছে কালীপুজো-দীপাবলি। ফলে সব মিলিয়ে এখন ফেস্টিভ মুডে রয়েছেন সকলে। তবে এদিকে স্কুলের ছুটি নিয়ে রাজ্য সরকার যথেষ্ট বৈষম্য করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন যে এরকম বৈষম্যের অভিযোগ কেন উঠল? তাহলে খুলে বলা যাক বিষয়টা। আসলে দুর্গাপুজো ও লক্ষ্মীপুজো শেষ হতে না হতেই রাজ্যের কয়েকশো প্রাথমিক স্কুল খুলে গিয়েছে। স্কুলে ফিরতে শুরু করেছে পড়ুয়ারা। অথচ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলির দরজা এখনো অবধি বন্ধ।
বলা হচ্ছে, আসলে গ্রীষ্মের ছুটি নিয়ে প্রাথমিক স্কুলের সঙ্গে রাজ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের সমতা থাকলেও বৈষম্য থাকছে পুজোর ছুটিতে। তবে এবার এই বিষয়টি রুখতেই বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে সরকার বলে খবর।
বড় উদ্যোগ সরকারের
এক রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের ৫০ হাজার প্রাথমিক স্কুল লক্ষ্মী পুজোর দু’দিন পর থেকে ও কালীপুজোর আগে পর্যন্ত খোলা ছিল। ওই সময়ে ৯৯৯১টি মাধ্যমিক ও ৬৭৭১টি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ ছিল। ফলে প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে একটা চাপা অসন্তোষ কাজ করছে। আসলে শিক্ষাবর্ষ হিসেবে, বড়দের চেয়ে ছোটরাই এ বার বেশি দিন ক্লাস পাচ্ছে। এই নিয়ে এক চাপা অসন্তোষ সকলের মধ্যেই তৈরী হয়েছে। এদিকে সম্প্রতি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, শিক্ষা দপ্তর এবং চেয়ারম্যানদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে জানানো হয়, আগামী ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে হাইস্কুলের মতই প্রাথমিক স্কুলেও পুজোর ছুটি টানা ১ মাস থাকবে। আরও যা জানা যাচ্ছে, তাতে গরমের ছুটি মে মাসের শেষের দিকে দেওয়া হবে এবং এপ্রিলের প্রথমে সব স্কুল মর্নিং শুরু হবে।