প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বছরের পর বছর ধরে পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে প্রশাসনিক কাঠামো নিয়ে একাধিক অভিযোগ খবরের শিরোনামে উঠে আসছে। কখনও কর আদায়ের কাজ নিতে গাফিলতি দেখা যাচ্ছে, তো কখনও আবার পঞ্চায়েত এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজে নানা ঢিলেমি দেখা যাচ্ছে এবং কাজ বাকি থেকে যাচ্ছে। ফলস্বরূপ বকেয়া করের পরিমাণ দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। তাই এ ব্যাপারেও কীভাবে কাজে গতি আনা যায় বা বকেয়া কর আদায় করা যায়, তা নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। গড়ে তোলা হল ষষ্ঠ অর্থ কমিশন।
গঠন করা হল ষষ্ঠ অর্থ কমিশন
আসলে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলির মান উন্নয়ন এবং যথাযথভাবে অর্থ খরচে পরিকল্পনা তৈরির জন্য ষষ্ঠ অর্থ কমিশনের নতুন কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে পাঁচ সদস্যের এই কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। এবং এই কমিটির বাকি চার সদস্য হলেন-অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন IAS বর্ণালী বসু, প্রাক্তন WBCS আশিস চক্রবর্তী, ব্যাঙ্ক কর্তা রুমা মুখোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন IAS অজয় ভট্টাচার্য। কীভাবে আরও পরিকাঠামোগত মান উন্নয়ন করা যায়, পঞ্চায়েতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে সরকারি অর্থ আরও যথাযথভাবে কীভাবে ব্যবহার করা যায়, এসব নিয়েই পরিকল্পনা রূপায়ণ করবে এই কমিটি।
মেয়াদ থাকবে কতদিন?
এছাড়াও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে কাজ শুরু করবে ষষ্ঠ অর্থ কমিশন। এবং পরের ৬ মাসের মধ্যেই তৈরি হবে পরবর্তী পাঁচ বছরের রূপরেখা। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত এবং পুরসভার আর্থিক পরিস্থিতি দেখে সেই অনুযায়ী পরামর্শও দেবে এই কমিশন। ষষ্ঠ অর্থ কমিশনের মেয়াদ থাকবে দুই বছর। পাশাপাশি এই কমিটির কাজ হবে রাজ্য সরকারের নেওয়া পরিকল্পনা সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা।
পাশাপাশি পঞ্চায়েতের আয় ও কর সংক্রান্ত বিষয়টি দেখাও অন্যতম বড় কাজ হবে বলেও নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমান সময়ে ষষ্ঠ অর্থ কমিশন গঠন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে পঞ্চম অর্থ কমিশন গঠন করে। অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকারকে চেয়ারম্যান করে ওই কমিশন গঠন করা হয়েছিল। দীর্ঘ সময় এই কমিশন কাজ করেছে।