শিক্ষক হতে খসাতে হবে আরও টাকা, D.El.Ed-র ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

Published on:

wbbpe increaseing affliation cost for d.el.ed colleges

পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগের হাল বেহাল হলেও চাকরিপ্রার্থীরা আশা ছাড়েননি। ২০১৪ এর পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষকদের নিয়োগের পূর্বে D.El.Ed কোর্সে পাশ করা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। তাই প্রতিবছর বহু প্রার্থীরাই এই কোর্সে ভর্তি হন। তবে এবার জানা যাচ্ছে বাড়তে চলেছে এই কোর্সের অনুমোদনের খরচ। কত টাকা বাড়বে ও কবে থেকে বাড়বে? আপনিও যদি ডিএলএড কোর্স করতে ইচ্ছুক হন তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

বাড়ছে ডিএলএড কোর্সের খরচ

WhatsApp Community Join Now

D.El.ED কোর্স করানোর জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রথমেই ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশনের থেকে NOC নিতে হয়। এরপর পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) কাছে অনুমোদনের খরচ জমা দিয়ে কোর্স করানোর অনুমতি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে অনুমোদনের অঙ্ক মোট আসন সংখ্যার উপর নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ – ৫০ আসনের কলেজকে ৫০,০০০ টাকা ও ১০০ আসনের কলেজকে ১,০০,০০০ টাকা দিতে হয়। তাই এই টাকার অঙ্কটা বাড়লে আগামী দিনে কোর্সের ফিসও যে বাড়বে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই ২০২৫ থেকে ডিএলএড কোর্সের খরচও বাড়বে বলা যেই পারে।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ধরণের প্রতিষ্ঠানেই ডিপ্লোমা ইন এলিমেন্টারি এডুকেশন বা D.El.Ed এর কোর্স করানো হয়ে থাকে। এই ধরণের কলেজগুলিকে পর্ষদকে দু’বছর অন্তর পুনর্নবীকরণ ফি দিতে হয়। এবার সেই অনুমোদনের টাকার অঙ্কটাই বাড়তে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।

কবে থেকে শুরু পুনর্নবীকরণের পক্রিয়া?

জানা যাচ্ছে বিগত ২৫ শে নভেম্বর থেকেই ডিএলএড কলেজগুলির পুনর্নবীকরণের পক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এর আগে অবশ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফ থেকে কলেজগুলিতে পরিদর্শনের জন্য টিম পাঠানো হয়েছিল। সেই সময় বেশ কিছু কলেজে পরিকাঠামোগত সমস্যা দেখা গিয়েছে। যা দ্রুত সমাধান করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পর্ষদের পক্ষ থেকে।

পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আপোষ নয়!

পর্ষদের মতে, শিক্ষকরাই আগামীদিনের পড়ুয়াদের তৈরী করবেন, এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের পরিকাঠামোগর মান ও পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনোরকম আপোষ চলবে না। তাই তাদের ট্রেনিংয়ে কোনোরকম অবহেলা মেনে দেওয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের প্রাথমিকস্কুল গুলিতে শিক্ষকের অভাব মেটানোর জন্য তৎপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাই আগেও শিক্ষকের অভাব মেটানোর জন্য সহকারী শিক্ষক নিয়োগ থেকে নিয়মিত ক্লাস করানো, পড়ুয়াদের উপস্থিতি বাড়ানোর দিকে জোর দিতে বলা হয়েছিল।

সঙ্গে থাকুন ➥
X