চাকরি বেঁচে যাবে প্রাথমিক শিক্ষকদের! ২০১২ সালে টেট উত্তীর্ণদের নিয়ে বড় ভাবনা পর্ষদের

Published:

TET Certificate
Follow

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে, শিক্ষকদের মধ্যে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিরাট উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, সব প্রাথমিক শিক্ষকদের টেট দিতেই হবে। এমনকি সারা দেশে প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে টেট পাশ করতে হবে। যাঁরা টেট উত্তীর্ণ নন, তাঁদের পরবর্তী দু’বছরের মধ্যে ওই পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। না হলে চাকরি ছাড়তে হবে। অথবা, চূড়ান্ত সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরের জন্য আবেদন করতে হবে। আর তাতেই বেশ চিন্তিত সকলে। এমতাবস্থায় টেট সার্টিফিকেট (TET Certificate) নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল পর্ষদ।

২০১২ সালে প্রাথমিক টেটে মেলেনি সার্টিফিকেট

সুপ্রিম কোর্টের টেট সংক্রান্ত নির্দেশ রীতিমত বজ্রাঘাতের মত মাথায় পড়েছে প্রাথমিক শিক্ষকদের। উল্লেখ্য, দেশজুড়ে শিক্ষার অধিকার আইন কার্যকর হওয়ার পর প্রাথমিকে টেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সরকার পোষিত ও সাহায্যপ্রাপ্ত প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রথম টেট নেওয়া হয়। ২০১২ সালে প্রাথমিক টেটে প্রায় ১২ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী আবেদন করেছিলেন। সেবার টেট পরীক্ষাটি ১০০ নম্বরের হয়েছিল, যেখানে এনসিটিই-র নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষাটি ১৫০ নম্বরের হওয়ার কথা। এই কারণে, অনেকেই এই পরীক্ষার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার উপর সকলের কাছে টেট পাস সার্টিফিকেট নেই, তাই তাদের নতুন করে পরীক্ষায় বসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

কী বলছেন পর্ষদ সভাপতি?

২০১২ সালের পরীক্ষার্থীদের কাছে এই টেট সার্টিফিকেটটি আসলে কেবল একটি নথি নয়, বরং তাদের যোগ্যতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ এবং কর্মজীবনের সুরক্ষাকবচ। তাই এবার সেই সার্টিফিকেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “শিক্ষকরা বিপদে পড়ুক এমন চায় না পর্ষদ। সার্টিফিকেট আমরা দেব ঠিকই। কিন্তু তার আগে সেই সময়ের নিয়মকানুন কী ছিল, কেন সেসময় সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি, আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করব, এগুলি সবটা ভাল করে দেখে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”

আরও পড়ুন: ‘সরকারের দুর্নীতি জনগণের সামনে তুলে ধরব আমরাই!’ হুঙ্কার চাকরিহারা সুমন বিশ্বাসের

উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে, কোচবিহার জেলার কর্মরত প্রাথমিক শিক্ষকরা, যারা ২০১২ সালের প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন, তারা এখন তাদের টেট পাস সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য শিক্ষা দপ্তরের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। সেই আবেদন পত্রে তারা শিশুদের বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার অধিকার আইন, ২০০৯ এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন দ্বারা ২০১০-এ প্রকাশিত গেজেট অনুসারে, শিক্ষকরা সার্টিফিকেট দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। তবে এখনও পর্যন্ত সেই নিয়ে কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join