প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি বছরের শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী এবার থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হবে নয়া পদ্ধতি মেনে অর্থাৎ সেমেস্টার পদ্ধতি মেনে। ইতিমধ্যেই একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা চলছে। এরপর বাকি আছে উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বাদশের তৃতীয় ও চতুর্থ সেমেস্টার। জানা গিয়েছে তৃতীয় সিমেস্টার হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এবং চতুর্থ সিমেস্টার ’২৬-র মার্চে। আর এই আবহে তাই একাদশ শ্রেণির ফলপ্রকাশ হওয়ার আগেই দ্বাদশের ক্লাস শুরু করার এক নির্দেশিকা (Class 12 Session) প্রকাশ্যে নিয়ে আনল শিক্ষা সংসদ। আসলে পড়ুয়াদের পড়াশোনায় যাতে কোনো খামতি না ক্ষতি না হয় তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল এই শিক্ষা সংসদ।
প্রকাশিত হল নির্দেশিকা
সেই নির্দেশিকা সূত্রে জানা গিয়েছে, সেমেস্টার প্রথায় যেহেতু পড়ুয়াদের হাতে সময় কম থাকবে, তাই আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের তৃতীয় সেমেস্টারের অর্থাৎ দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে। অর্থাৎ একাদশ শ্রেণির সব পড়ুয়া পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই তৃতীয় সেমেস্টারের ক্লাস করতে পারবেন। কিন্তু একাদশ শ্রেণির ফলপ্রকাশের পরে যদি দেখা যায় যে কোনও পড়ুয়া পাশ করতে পারেনি, তাহলে সে আর তৃতীয় সেমেস্টারের ক্লাস করতে পারবে না। অর্থাৎ তাঁকে পুনরায় একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করতে হবে। দিতে হবে প্রথম এবং দ্বিতীয় সেমেস্টারের পরীক্ষা।
কী বলছেন শিক্ষা সংসদ সভাপতি?
এই প্রসঙ্গে শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, “এবার যে ছাত্র-ছাত্রীরা দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠছেন, তাঁরাই প্রথম সেমেস্টার প্রথার আওতায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। তাঁদের আমলেই প্রথম সেমেস্টার প্রথা চালু হয়েছে। আর যেহেতু পুরোটাই প্রথমবার হচ্ছে, তাই ব্যাপারটা একেবারেই নতুন পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের কাছে। তাই ছাত্র ছাত্রীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়। তাই আমরা প্রধান শিক্ষকদের জানিয়েছি দ্রুত ক্লাস শুরু করতে।’’ কিন্তু সংসদের সিদ্ধান্তকে অনেকেই গ্রহণ করতে পারছে না। যার ফলে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
নির্দেশিকাকে ঘিরে উঠছে প্রশ্ন
শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানিয়েছেন যে, “একাদশ শ্রেণির ফলপ্রকাশের আগেই এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে তৃতীয় সেমেস্টারের জন্য ক্লাস শুরু করার নোটিশ দিয়েছিল কাউন্সিল। কিন্তু কেউ যদি অকৃতকার্য হয়, তাহলে তাকে পুনরায় একাদশ শ্রেণিতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এই মনোভাবটাই পড়ুয়াদের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই আমরা দাবি করছি, ফলপ্রকাশের পর এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ক্লাস শুরু করা হোক। কারণ তার আগে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা রয়েছে। খাতা দেখার জন্য সময় লাগবে। তাই দ্রুত ফলপ্রকাশের পর ক্লাস শুরু হওয়া উচিত।”
অন্যদিকে সংসদের সিদ্ধান্তকে সঠিক বলে দাবি জানাচ্ছে বিভিন্ন মহল। দ্য পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘‘একাদশ শ্রেণির ফলাফল যেহেতু স্কুলের উপর নির্ভর করছে, তাই যত দ্রুত ফল প্রকাশ করা যায় ততই পড়ুয়াদের জন্য ভাল। কারণ, তৃতীয় ও চতুর্থ সিমেস্টারের জন্য খুবই কম সময় পাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। এপ্রিল থেকে ক্লাস শুরু হলে একটু হলেও বেশি সময় পাবে তাঁরা।’’
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |