প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর চাকরি। তার পর থেকে প্রায় ৯ দিন কেটে গেল কিন্তু এখনও চাকরি হারাদের শিক্ষা দপ্তর, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ কারোর কাছ থেকে কোনও সুস্পষ্ট নির্দেশিকা পৌঁছয়নি। একদিকে যেমন শিক্ষা কর্মীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে ঠিক তেমনই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাও অথৈ জলে ডুবেছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর জেলায় জেলায় বহু স্কুলেই উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক-সঙ্কট তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। কোথাও জীববিদ্যা পড়ানোর লোক নেই এমনকি অঙ্ক এবং ইংরেজি পড়ানোর লোকও নেই। মহা সমস্যায় পড়েছে প্রধান শিক্ষকদের একাংশ। আর এই আবহে এবার বিকল্প রাস্তা বের করল শিক্ষা সংসদ (WBCHSE)।
সামনেই তৃতীয় সিমেস্টার!
এখনও পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষায় নিয়োগ নিয়ে কোনরকম নোটিস জারি করেনি, এদিকে স্কুলে স্কুলে বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষক নেই। তার উপর আগামী সেপ্টেম্বরেই উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সিমেস্টার হওয়ার কথা। আর এই তৃতীয় সিমেস্টার এবং চতুর্থ সিমেস্টার মিলিয়েই হবে উচ্চমাধ্যমিকে মূল্যায়ন। ফলে হাতে সময়ও অনেক কম। তাই এই পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের ক্লাস নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন প্রধান শিক্ষকেরা। তাই এবার সেই নিয়ে এক নয়া উপায় বের করলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
বিকল্প পথ বলে দিলেন শিক্ষা সংসদের সভাপতি
সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য শিক্ষক সংকটের সমাধান নিয়ে জানিয়েছেন, ধরা যাক একটি এলাকায় তিন-চারটি স্কুলে পদার্থবিদ্যার শিক্ষক নেই। কিন্তু ওই এলাকারই অন্য স্কুলে ওই একই বিষয়ের শিক্ষক আছেন। তা হলে যে স্কুলগুলিতে শিক্ষক নেই, সেই স্কুলের পড়ুয়ারা যে স্কুলে পদার্থবিদ্যার শিক্ষক আছে সেই স্কুলে গিয়ে সপ্তাহে একদিন বা দু’দিন পদার্থবিদ্যার ক্লাস করে আসবে। তাতে কিছুটা হলেও সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়াও তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিকে নির্দেশিকা পাঠানোর তোড়জোড় চলছে। তাহলে পড়ুয়ারা অন্তত উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের পড়াশোনার মাঝখানে কোনো সমস্যায় পড়বে না।
আরও পড়ুনঃ চাকরি হারিয়েও শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের স্কুলে যাওয়ার জের! শিক্ষা দফতরে গেল আইনি নোটিশ
এই প্রসঙ্গে শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী জানিয়েছেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি তবে এটা সাময়িক সমাধান, কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। অনেক পড়ুয়ার মা-বাবা সন্তানকে নিজের স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে পাঠাতে চান না। তার পিছনে থাকে অজস্র কারণ। ফলে আগের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি এই পদ্ধতিতে পড়ানোয় দেখা গেছে পড়ুয়া সংখ্যা খুব বেশি হয় না। এবং সিলেবাসও আধা আধুরা থাকে। ’’ তবে এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |