প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সরকারী চাকরি পেতে কে না চায়। কিন্তু সরকারী চাকরি পেতে গেলে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম এবং ভাগ্যের দরকার হয়। তাইতো সরকারী চাকরীর আশায় এখন অনেকেই দিন রাত পড়াশোনা করে চলেছে। এদিকে ২০২৪ এখন প্রায় শেষের মুখে। কিন্তু এখনও WBCS পরীক্ষা নিয়ে কোনো রকম নির্দেশিকা বা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ্যে এল না। যার জেরে হতাশার ছায়া পড়েছে সকল চাকরিপ্রার্থীদের চোখে মুখে।
বছর শেষ হতে চললেও এখনও অধরা নোটিশ
রাজ্য সরকারি চাকরির মধ্যে সবচেয়ে উঁচু ক্যাডারের নিয়োগ হয় WBCS এর মাধ্যমে। প্রতি বছর এই পরীক্ষা নিয়ে থাকে ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিশন। কিন্তু এই বছর এখনও পরীক্ষা নিয়ে কোনো নোটিশ জারি হয়নি। গতবার যেখানে পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। সেখানে এখনও কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। যদিও ২০২৪ সালে আদৌও পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে কিনা, সে বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের তরফে আপাতত নির্দিষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।
কী বলছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সম্পাদক?
তবে একটি মহলের দাবি, শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট psc.wb.gov.in-তে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছাত্র পরিষদের রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন মিত্র বলেন, ‘২০২৪ সালে WBCS-র কোনও ফর্ম ছাড়ল না WBPSC (পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন)। ২০২২ এবং ২০২৩ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ করতে পারেনি WBPSC। একমাত্র WBCS-র পরীক্ষা এতদিন প্রতি বছর হত।’
WBCS-র পরীক্ষার প্যাটার্ন
- মোট তিনটি পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা অর্থাৎ WBCS পরীক্ষা হয় – প্রিলিমিনারি, মেনস এবং ইন্টারভিউ। এবার এই তিনটি পর্যায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
- প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় মোট আটটি বিষয় থাকে – ইংরেজি, জেনারেল সায়েন্স, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স, ভারতের ইতিহাস, ভারতের ভূগোল, ভারতের রাজনীতি ও অর্থনীতি, ভারতের জাতীয় আন্দোলন এবং জেনারেল মেন্টাল এবিলিটি। প্রতিটিতে থাকে ২৫ নম্বর।
- মেনস পরীক্ষায় আটটি পেপার থাকে। ছ’টি হল কম্পালসরি পেপার – প্রথম ভাষা, ইংরেজি, জেনারেল স্টাডিজ ১, জেনারেল স্টাডিজ ২, ভারতের সংবিধান ও ভারতের অর্থনীতি এবং অ্যারিথমেটিক ও রিজনিং। এবং প্রতিটি পেপারে ২০০ নম্বর থাকে।
- অন্যদিকে মেনস এ অপশনাল সাবজেক্টে দুটি পেপার থাকে। এবং ওই দুই পেপারে মোট ৪০০ নম্বর থাকে। অর্থাৎ মেনস পরীক্ষা হয় মোট ১,৬০০ নম্বরে। যে প্রার্থীরা শুধুমাত্র গ্রুপ ‘এ’ এবং গ্রুপ ‘বি’ পদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের সেই অপশনাল সাবজেক্ট বেছে নিতে হয়।
- সর্বশেষ ধাপটি হল পার্সোনালিটি টেস্ট অর্থাৎ ইন্টারভিউ। গ্রুপ ‘এ’ এবং গ্রুপ ‘বি’ পদে নিয়োগের জন্য ২০০ নম্বর থাকে। গ্রুপ ‘সি’ পদে নিয়োগের জন্য থাকে ১৫০ নম্বর। গ্রুপ ‘ডি’ পদে নিয়োগের জন্য থাকে ১০০ নম্বর থাকে।