প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বহু ঝামেলা ঝঞ্ঝাটের পর অবশেষে গত ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসির (WBSSC) নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তবে ফলাফল এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। দীর্ঘ ৯ বছর পর নির্বিঘ্নেই মিটেছে এসএসসির সেই পরীক্ষা। এবার পালা শিক্ষা কর্মীদের। ইতিমধ্যেই আবেদন সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। পরীক্ষা নেওয়া হবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এমতাবস্থায় ফের নিয়োগ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালত বড় আপডেট তুলে ধরল।
শিক্ষাকর্মী নিয়োগ নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল হয়ে হয়েছিল। এরপরই এসএসসির নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল আদালত। এবং স্পষ্ট জানিয়েছিল, যাঁরা ‘চিহ্নিত অযোগ্য’ তাঁরা পরীক্ষায় বসতে পারবে না। সেই নির্দেশ মেনেই পরীক্ষায় আয়োজন করা হয়েছিল শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য। নির্বিঘ্নেই কেটেছে সেই পরীক্ষা। এবার পালা শিক্ষাকর্মীদের। সম্প্রতি এসএসসি স্কুলে শিক্ষাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। মোট ৮,৪৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগ হবে। এর মধ্যে গ্রুপ-সি পদে ২,৯৮৯টি এবং গ্রুপ-ডি পদে ৫,৪৪৮টি শূন্যপদ রয়েছে। আগামী ৩ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
শিক্ষাকর্মীদের পরীক্ষার নম্বর বিভাজন
এছাড়াও কমিশনের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে গ্রুপ-সি শিক্ষাকর্মী পদে নিয়োগের জন্য মোট ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হবে ওএমআর পদ্ধতিতে। সেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতার স্কোর হিসাবে বরাদ্দ হতে চলেছে ১০ নম্বর। মৌখিক ইন্টারভিউয়ে ১০ নম্বর এবং কম্পিউটার টাইপিং ও বাড়তি কম্পিউটার জ্ঞানের জন্য থাকছে মোট ১৫ নম্বর। এমনকি কমিশনের তরফে এও বলা হয়েছিল যে, “আদালতের নির্দেশ মেনেই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘যোগ্য’ প্রাক্তন শিক্ষাকর্মীদের বাড়তি সুবিধা দেওয়া হবে। তবে এই সুবিধা কোনও মর্জিমাফিক নয়। আইনজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই যোগ্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করা হবে।” এবার সেই সংক্রান্ত মামলা নিয়ে ফের সাবধান বাণী শোনাল সর্বোচ্চ আদালত।
আরও পড়ুন: ‘১০ নম্বর দেওয়া যাবে না!’ চাকরিহারাদের বাড়তি সুবিধার বিরুদ্ধে পথে SSC-র পরীক্ষার্থীরা
নিয়োগ নিয়ে সাবধান বাণী আদালতের
রিপোর্ট অনুযায়ী আজ অর্থাৎ বুধবার বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এসএসসি সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সেখানেই বিচারপতি পুনরায় রাজ্য সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন যে, কোনও অযোগ্য প্রার্থী যেন পরবর্তী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সুযোগ না পায়। এবং তিনি এও বলেন যে, এইমুহুর্তে এসএসসি সংক্রান্ত মামলাগুলি আদালত শুনছে, তাই তাঁরা চান না কোনও ফাঁক গলে কোনও অযোগ্য প্রার্থী ফের চাকরি পেয়ে যান। যদি নতুন প্যানেলে কোনও অযোগ্য প্রার্থী থাকে, তবে তার সম্পূর্ণ দায় রাজ্য সরকার, এসএসসি এবং পরীক্ষা বোর্ডের হবে। এখানেই শেষ নয়, বিচারপতি আরও বলেছেন যে, অযোগ্যদের একটি তালিকা প্রকাশ করতে হবে যেখানে বিষয়ভিত্তিক ও সংরক্ষণভিত্তিক তথ্য বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা থাকবে।”












