পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ যত দিন এগোচ্ছে ততই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। তবে একটা কথা লোকের মুখে প্রায়শই শোনা যায় সেটা হল মূল্যবৃদ্ধি হলেও মানুষের যায় তেমনভাবে বাড়ছে না। সত্যিই কী তাই? দুই তিন দশকে কতটা আর্থিক উন্নতি হয়েছে বাংলার মানুষের? আজকের প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কিত কিছু তথ্যই তুলে ধরা হল আপনাদের জন্য।
কর্ণাটকের থেকেও ১৬% বেশি ছিল পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আয়
তথ্য অনুযায়ী ১৯৮১ সালে বাংলার মানুষের আয় ছিল কর্ণাটকের তুলনায় ১৬% বেশি। অথচ ২০২১ সালে দেওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুযায়ী, সেই কর্ণাটকের মানুষের আয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষের তুলনায় ১১১% বেশি। হ্যাঁ বর্তমানে দেশের সবচেয়ে ধনী রাজ্যের মধ্যে অন্যতম কর্ণাটক। চার দশকে ব্যাপক পাল্টে গিয়েছে মানুষের আয়ের হিসেবে।
দেশের অর্থনীতিতে বাংলার অবদান কত?
সরকারি তথ্য বলছে, ২০২২ সালে গোটা দেশের অর্থনীতিতে মাত্র ৫.৮% অবদান রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। মূলত কৃষি নির্ভর বাংলায় ২৩% মানুষ কৃষিকাজের সাথে যুক্তি। এছাড়া ২৩% শিল্প ও বাকি ৫৩% সার্ভিস সেক্টরের সাথে। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতিতে ৮% এরও বেশি অবদান রয়েছে কর্ণাটকের।
২০২৩ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় এক ব্যক্তির মাথা পিছু বার্ষিক আয় ১,৩৯,৪৪২ টাকা। অথচ পাশের রাজ্য সিকিমেই এই সংখ্যা প্রায় চারগুণ। আয়তনে অনেকটা ছোট হলেও সেখানে একজনের গড় আয় ৫ লক্ষ ২০ হাজার ৪৬৬ টাকা। ঝাড়খণ্ডে মাথা পিছু আয় ছিল ৯৬,৪৪৭, অসমে ১,১৯,৩০৮। সেই তুলনায় বিহার অনেকটাই পিছিয়ে, এবছর বিহারে একজনের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫৩,৪৭৮ টাকা।
আরও পড়ুনঃ সারাবছরই হাই ডিমান্ড, এভাবে মুরগি পালন ব্যবসা শুরু করলেই প্রতিমাসে আয় হবে ২ লাখ
বর্তমানে ত্রিপুরাতে এক ব্যক্তির মাথা পিছু আয় প্রায় ১,৫৭,৩৬৪ টাকা। যেটা কর্ণাটকে ৩,০৪,৪৭৪, তেলেঙ্গানায় ৩,১২,৫২২, মহারাষ্ট্রে ২,৫২,৩৮৯, গুজরাটে ২,৭২,৪৫১, ও দিল্লিতে ৪,৩০,১২০ টাকা। এছাড়া যদি অর্থনীতির দিক থেকে দেখা যায় তাহলেও পশ্চিমবঙ্গ অনেকটাই পিছিয়ে। মহারাষ্ট্রে ৩১.৮০ ট্রিলিয়ান, কর্ণাটকে ২০.৫৬ ট্রিলিয়ান গুজরাট ও উত্তর প্রদেশে ১৯ ট্রিলিয়ানেরও বেশি সেখানে বাংলার অর্থনীতি ১৩.৭৯ ট্রিলিয়ান।