‘টেট পাস না করলে শিক্ষকের চাকরি বাতিল!’ রায় পুনর্বিবেচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য

Published:

Supreme Court on TET
Follow

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বাংলায় টেট দুর্নীতি নিয়ে জলঘোলা নতুন কিছু নয়। সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি জানিয়েছিল, কর্মরত যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা টেট (Supreme Court on TET) উত্তীর্ণ নন, তাঁদেরকে আবারও পরীক্ষায় বসতে হবে। কারণ, চাকরি বজায় রাখতে গেলে টেট পাস বাধ্যতামূলক। তবে শীর্ষ আদালতের সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর পথে হাঁটতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ইতিমধ্যে স্কুল শিক্ষা দপ্তর থেকে নবান্নে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে, নবান্ন থেকে সবুজ সংকেত মিললেই আদালতের রায় আবারও পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানো হবে।

সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে রাজ্য সরকার?

প্রসঙ্গত, চাকরি হারানোর ভয়ে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং প্রাথমিক স্তরের পঠনপাঠনের কথা ভেবে শিক্ষক সংগঠন বহুদিন ধরেই সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর জন্য সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে। বঙ্গীয় শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মন্ডল বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর আমরা রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রীকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। রাজ্য আবারও সেই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে চলেছে শুনে খুবই ভালো লাগল। আমরা জিতবোই।

আননদবাজারের রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যে একাধিক রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে টেট সংক্রান্ত রায়ের জন্য দ্বারস্ত হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ফেলেছে ইতিমধ্যেই। আর পশ্চিমবঙ্গও এবার সেই পথে হাঁটতে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে ঘিরে রাজ্যে এমনিতেই বিতর্কের দানা বেঁধেছে। কারণ, যারা গত ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে চাকরি করছে, তারাও এই নির্দেশের আওতায় পড়ছে। ফলে অনেকের চাকরি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর রাজ্যের প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নতুন করে আবারও টেট পরীক্ষায় বসার নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। এর প্রভাব প্রাথমিক শিক্ষাস্তরে পড়তে পারে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং অগাস্টিন জর্জ মাসিহের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, পদোন্নতির জন্য শিক্ষককে অবশ্যই টেট পাস হতে হবে। আর আগামী ২ বছরের মধ্যে যারা টেট উত্তীর্ণ হতে পারবে, তাদেরই চাকরি থাকবে। তবে হ্যাঁ, যারা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অবসর নেবে, তারা টেট পাস না করলেও হবে।

আরও পড়ুনঃ ‘গণধর্ষণের পর মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ৩০০০ টাকাও চায়!’ জানালেন দুর্গাপুরের নির্যাতিতার মা

তৎপর হয়েছে বাংলা

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই বাংলা নড়েচড়ে বসেছে। গত মাসে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জেলায় জেলায় কর্মরত শিক্ষকদের সমস্ত তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছিল। এমনকি কোন জেলায় কতজন শিক্ষককে টেট পরীক্ষা দিতে হবে, সেই তথ্যও যাওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের মধ্যে কে কে অবসর নেবেন তাও জানা হয়েছিল। আর কবে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন তার বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এখন দেখার, রাজ্য সরকার সত্যিই সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে এই রায় পুনর্বিবেচনার করার আর্জি জানায় কিনা।

গুরুত্বপূর্ণ
Join
চাকরির খবর
Join
রাশিফল
Join
খেলার খবর
Join