সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে হাওড়া-পুরুলিয়া ভায়া মশাগ্রাম মেমু ট্রেন চালু হয়েছে। অর্থাৎ ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির আরও হাতের কাছে পুরুলিয়া। সেইসঙ্গে বাঁকুড়া, মশাগ্রাম যাওয়াও সহজ হয়ে যাবে। বিগত বহু বছর ধরে এই রুটে ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাধারণ মানুষ। অবশেষে সকলের সেই অপেক্ষার অবসান হয়েছে। তবে এসবের মাঝেই সামনে আরও একটা জিনিস এসছে, আর সেটা হল ভাবাদিঘি। এই ভাবাদিঘি জমি জট কাটিয়ে কবে বিষ্ণুপুর অবধি ট্রেন ছুটবে এখন সেই প্রশ্ন সকলের মুখে মুখে।
ফের প্রশ্নের মুখে ভাবাদিঘি জমি জট
তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর অবধি রেল প্রজেক্টের (Tarakeswar Bishnupur Rail Project) মাঝে বারবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ভাবাদিঘির জমি। এর জন্য এক চুলও কাজ এগোতে পারছে না রেল। দফায় দফায় চলছে আন্দোলন থেকে শুরু করে বৈঠক। চলতি মাসের ৪ তারিখেও পরিবহণ দফতরের আধিকারিকরা ভাবাদিঘি জমি আন্দোলনকারীদের বৈঠক হয়। তবে এই বৈঠকে আগের মতোই কোনও সমাধান সূত্র বেরোয়নি। একাধিক জায়গায় কাজ হলেও ভাবাদিঘি নিয়ে বারবার সমস্যায় পড়তে হয়েছে রেলকে। এই জায়গার জন্য দীর্ঘ ৮ বছর ধরে আটকে রয়েছে রেলের কাজ। অনেক প্রচেষ্টা স্বত্বেও জমি অধিগ্রহণের কাজ করে উঠতে পারেনি রেল।
কবে ছুটবে বিষ্ণুপুর অবধি ট্রেন?
ভাবাদিঘির ক্ষতির আশঙ্কায় তার উপর দিয়ে রেলপথ নিয়ে যাওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আপত্তিতে বন্ধ জমি অধিগ্রহণের কাজ। এই নিয়ে আবার জনস্বার্থ মামলাও দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এতকিছুর মাঝেও প্রশ্ন উঠছে, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল লাইনের ভবিষ্যৎ কী? ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সম্পাদক সুকুমার রায় বলেন, ‘আমরাও চাই রেল লাইন হোক। কিন্তু শেষবারের মতো কলকাতায় একটি বৈঠক হয়েছে। তারপর ফের পরিবহণ দপ্তরের ২০ জুন বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতির কারণে তা পিছিয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বৈঠক হওয়ার কোনও বার্তা আমাদের কাছে আসেনি। তাঁর দাবি, বাঁকুড়া থেকে মশাগ্রাম হয়ে হাওড়া যুক্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের এখানে রেল ও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। ব্লক প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে রয়েছে। ফলে সেখান থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হবে।’
আরও পড়ুনঃ বিদেশে যে ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন তাতেই হারে ভারতে, টিম ইন্ডিয়ার অভাগা প্লেয়ার ইনিই!
বর্তমানে তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের আওতায় আপাতত গোঘাট পর্যন্ত ট্রেন চলছে। কামারপুকুর থেকে বিষ্ণুপুরের দিকেও কাজ এগচ্ছে। পশ্চিম অমরপুরেও প্রকল্প নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। যদিও রেল থেকে শুরু করে স্থানীয়রা আশাবাদী, খুব শীঘ্রই এই জমি জট কাটবে এবং তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর অবধি ছুটবে ট্রেন।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |