সহেলি মিত্র, কলকাতা: সোমবার মুম্বাইয়ের বুকে ঘটে যাওয়া ভয়ানক ট্রেন দুর্ঘটনা সকলকে রীতিমতো ভেতর থেকে নাড়িয়ে রেখে দিয়েছে। এদিন ভিড়ে ঠাঁসা লোকাল ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে রেল। এমনিতে লোকাল ট্রেনকে (Local Train) যে কোনও জায়গার লাইফলাইন বলা হয়ে থাকে। সে মুম্বাই হোক বা বাংলা, প্রতিদিন এই লোকাল ট্রেনে করে লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করছেন কখনো ভিড়ে ঠাসা ট্রেনে তো কখনো ফাঁকা ট্রেনে। তবে গতকালের ঘটনা সকলের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে রেলযাত্রীরা আদৌ কতটা সুরক্ষিত। এই পরিস্থিতিতে এবার মুম্বাই এবং কলকাতার শহরতলীর সঙ্গে দেশের আর কোন কোন শহরের লোকাল ট্রেন লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহৃত হয় হয়ে থাকে সে বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করছে রেল মন্ত্রক। শুধু তাই নয় প্রতিটি লোকাল ট্রেনে স্বয়ংক্রিয় দরজা লাগানোর ব্যবস্থা শুরু করেছে রেল বলে খবর।
বড় ভাবনা রেলের
সূত্রের খবর, বাংলাতেও লোকাল ট্রেন গুলিতে স্বয়ংক্রিয় খোলা বন্ধের সুবিধা থাকার দরজা বসানোর পরিকল্পনা করছে রেল। এতে করে দুর্ঘটনা অনেকটাই আটকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সে বাংলা হোক বা বাংলার বাইরে, লোকাল ট্রেন গুলিতে লাগামছাড়া ভিড় চোখে পড়ে। অনেকেই আছেন যারা সময় বাঁচানোর তাগিদে ভিড় ট্রেনে উঠে রোজ যাতায়াত করছে নিজের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এতে করে দুর্ঘটনার সংখ্যাও হু হু করে বাড়ছে। টেনে ঝুলে ঝুলে প্রতিদিন অনেকেই আছেন যারা যাতায়াত করেন। তবে এবার দুর্ঘটনা রোধে বিশেষ করে বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে পূর্ব এবং দক্ষিণ পূর্ব রেল।
হাওড়া-শিয়ালদা ট্রেনে অটোমেটিক দরজা?
সূত্রের খবর, পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে এই ব্যাপারে আগামী দিনের সচিব পর্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে পারে রেল বোর্ড। এই প্রসঙ্গে সোমবার পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক দীপ্তিময় দত্ত সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, ‘ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা ইতিমধ্যেই একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছি। শিয়ালদহ মেন শাখায় সবক’টি লোকাল ট্রেনের কোচ সংখ্যা ন’টি থেকে বাড়িয়ে ১২টি করা হয়েছে। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় আগে থেকেই ১২ বগির লোকাল ট্রেন চলে। ওই শাখায় ট্রেনের সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। পর্যাপ্ত ট্রেন যদি থাকে, তাহলে অযথা দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই।’
আরও পড়ুনঃ আপাতত বাড়ি বাড়ি বসছে না স্মার্ট মিটার, বিতর্কের জেরে নয়া বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকারের
এদিকে রেলমন্ত্রকের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি) দিলীপ কুমার জানিয়েছেন, পাদানিতে ঝুলতে ঝুলতে ট্রেনে যাতায়াত করা একেবারেই কাম্য নয়। সেই কারণেই এহেন দুর্ঘটনা ঘটেছে। তা আটকাতে পর্যায়ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয় খোলা বন্ধের সুবিধে থাকা দরজা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি শীঘ্রই হাওড়া-শিয়ালদা থেকে চলাচলকারী লোকাল ট্রেনগুলিতে অটোমেটিক দরজা বসবে? সেদিকে নজর থাকবে সকলের।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |