প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্য জুড়ে এখন চলছে SIR ঝড়। বিভিন্ন জেলা থেকে উঠে আসছে একের পর এক SIR বিতর্কের খবর। কখনও তৃণমূলের হুমকি বিএলও-কে তো কখনও আবার বিজেপি এজেন্টকে মারধর লেগেই রয়েছে। নথি যাচাই করতে গিয়ে নানারকম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সকলকে। এমতাবস্থায় অবাক কাণ্ড ঘটল আলিপুর জেলা হাসপাতালে (Alipurduar Hospital)। ডেথ সার্টিফিকেটের জন্য মৃতার পরিচয়পত্র, নথি চাইতেই হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেল পরিবারের সদস্যরা! যোগাযোগ করা গেল না রেজিস্ট্রেশনে লেখা মৃতার আত্মীয়ের নম্বরে।
ঠিক কী ঘটেছে?
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৫ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ সঞ্জিতা বিবি নামে ৪২ বছরের এক মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু ওই রোগীর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় বাধ্য হয়ে তাঁকে ICU-তে ট্রান্সফার করা হয়। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। কিন্তু তারপরেই ঘটে এক অবাক করা কাণ্ড। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই মহিলার ডেথ সার্টিফিকেট লেখার জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে যেই ওই মহিলার পরিচয় পত্র জানতে চান তখনই দেখা যায় হাসপাতাল থেকে ওই পরিবারের লোকজন উধাও হয়ে গিয়েছে। চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয় হাসপাতাল চত্বরে।
মর্গে রাখা হল দাবিদারহীন মৃতদেহকে
আলিপুর হাসপাতাল সূত্রে খবর সঞ্জিতা বিবি নামের ওই মহিলাকে ভর্তি করাতে এসেছিল জাবেদ আলি নামে এক ব্যক্তির। তিনি দাবি করেছিলেন যে সে ওই মহিলার পরিবারেরই সদস্য। সেই অনুযায়ী হাসপাতালের রেজিস্ট্রেশন স্লিপে সেই তথ্য লেখা হয় সঙ্গে ওই ব্যক্তির মোবাইল নম্বরও রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকি এখনও পর্যন্ত মৃত মহিলাকে দেখতে আসেনি কেউই। ফলে বাধ্য হয়ে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সঞ্জিতা বিবির মৃতদেহ রাখা হয়েছে মর্গে। বিষয়টি শীঘ্রই পুলিশকে জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ দেবেন অধীর চৌধুরী? শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে বাড়ল জল্পনা
আলিপুর জেলা সদর হাসপাতালের সুপার ডাঃ পরিতোষ মণ্ডল জানিয়েছেন, “ হার্ট অ্যাটাকে ওই মহিলা অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমরা সবরকম চেষ্টা করেছি। কিন্তু রোগীকে বাঁচাতে পারিনি। এদিকে ডেথ সার্টিফিকেট তৈরির জন্য আধার কার্ড বা ভোটার কর্দেরি নথি চাওয়ার পরেই হাসপাতাল থেকে পরিবারের লোকেরা উধাও হয়ে যান। আমরা তাই দাবিদারহীন মৃতদেহ বলে মর্গে রেখে দিয়েছি। পরিবার চাইলে যথাযথ নথি দেখিয়ে মৃতদেহ নিতে আসতে পারেন।”












