ফণী, আমফান, আয়লার পর আরও এক ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর আশঙ্কায় কাঁপছে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ। বঙ্গোপসাগরে একটি গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হতে পারে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এটি যদি ঘূর্ণিঝড়ের রূপ ধারণ করে তাহলে ধ্বংস হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না।
বাংলায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়?
সকলেই ইতিমধ্যে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন যে এই ঘূর্ণিঝড় রেমাল কি বাংলায় আছড়ে পড়বে? ফের কি নতুন করে আয়লা, আমফানের স্মৃতি ফিরবে? এই প্রসঙ্গে আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা এখনও অবধি কোনও কিছু নিশ্চিত হতে পারেননি। ইতিমধ্যে কলকাতা শহর সহ দক্ষিণবঙ্গ, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
ফুঁসছে বঙ্গোপসাগর
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ পশ্চিমে দক্ষিণ-পশ্চিম ও তার সঙ্গে দক্ষিণ মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর একটি নিম্ন চাপ এলাকা সৃষ্টি হয়েছে এই নিম্নচাপ এলাকাটি আগামী কয়েক ঘণ্টায় শক্তিশালী হয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। IMD প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানাচ্ছেন, আগামীকালের মধ্যে সব ছবি পরিষ্কার হয়ে যাবে। এদিকে ২৫-২৬ মে ওড়িশার বালেশ্বর ও ভদ্রক জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি গতিবিধি তৈরি হচ্ছে। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তা আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের আকার ধারণ করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।
কোথায় ল্যান্ডফল করবে ঘূর্ণিঝড়?
মনে করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় রেমাল বাংলাদেশের ওপর প্রাথমিকভাবে আছড়ে পড়তে পারে। বিপদের সম্মুখীন হতে পারে ওপার বাংলা। তবে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশাও কিন্তু হাই অ্যালার্ট মোডে রয়েছে। আবার মিয়ানমারের দিকেও এই ঘূর্ণিঝড় যেতে পারে বলে আশঙ্কা। বিভিন্ন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আগামী ২৬ মে সকাল ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে বরিশালের বরগুনা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে স্থল ভাগে আঘাত হানতে পারে।
তৎপর লালবাজার
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের চোখ রাঙানির মাঝেই ময়দানে নেমে পড়ল প্রশাসন। এবার লালবাজারের তরফে বিশেষ কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোথাও কোনো রকম গাছ পড়ে রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোন কোন জায়গা জলমগ্ন হতে পারে তা আগে থেকে জেনে রাখতে হবে ট্রাফিক গার্ডদের।