গরমে রীতিমতো সেদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন বাংলার মানুষজন। বৃষ্টি হলেও অস্বস্তিকর গরম যেন পিছুই ছাড়তে চাইছে না। এদিকে বৃষ্টির পূর্বাভাস প্রত্যেকদিনই থাকছে। স্বস্তি যেন আর ফেরে না। সকলের একটাই প্রশ্ন, ভ্যাপসা গরম কবে কমবে? অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে ফুঁসছে গভীর নিম্নচাপ। এটি ইতিমধ্যে দক্ষিণ পশ্চিম ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর থাকা নিম্নচাপটি শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর আশঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এর আশঙ্কায় রীতিমতো থরহরি কম্প বাংলা থেকে শুরু করে বহু রাজ্যের মানুষ। এমনকি আশঙ্কার প্রহর গুনছেন মায়ানমার থেকে শুরু করে বাংলাদেশ। যদি এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে এটি ১০০ থেকে ১২০ কিমি বেগে ল্যান্ডফল করতে পারে। প্রশ্ন উঠছে, বাংলায় বা বাংলাদেশে কি এই ঘূর্ণিঝড় ল্যান্ডফল করবে?
ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কা
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ বাতাসের ঝাপটা ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের বিজ্ঞানীরা। আসন্ন ৫ দিনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সবার আগে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। আগামী ২৫ মে সন্ধের মধ্যে এটি উত্তর-পূর্ব সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাবে বলে খবর।
কোনদিকে এগোবে ‘রেমাল’
স্বাভাবিকভাবেই সকলে প্রশ্ন তুলছেন যে কোনদিকে যাবে ঘূর্ণিঝড়টি? এই বিষয়ে আইএমডি জানিয়েছে শনিবার সপ্তাহান্তে সকালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পরে সেটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। তারপর রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের কাছে পৌঁছাবে। যদিও এই দুই উপকূলের মধ্যে কোথায় ল্যান্ডফল করবে সেটা এখনও নিশ্চিতভাবে জানাতে পারছে না কেউ।
এছাড়া বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে যদি এই ঘূর্ণিঝড়টি হাজির হয় তখন এর গতিবেগ ১০০ থেকে ১২০ কিমি-র মধ্যে হতে পারে। চলবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির দাপট।
কোথায় কোথায় বৃষ্টি হবে
বাংলার তিন জেলার উদ্দেশ্যে চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মতো জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে রবিবার ২৬ মে। বইবে ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে হাওয়া। বৃষ্টি হবে বাংলার বাকি জেলাগুলিতেও।