প্রবল শক্তি সঞ্চার করে বাংলা এবং বাংলাদেশ উপকূলের ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে শুরু করে আইএমডির বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, আজ রবিবার রাত ১১টা থেকে ১টার মধ্যে মধ্যে আছড়ে পড়বে বলে খবর। এদিকে সাইক্লোনের আশঙ্কায় আগে থেকে তৎপর হয়ে রয়েছে প্রশাসন। রেল চলাচল থেকে শুরু করে বিমান, ফেরি পরিষেবা আজ থেকে বন্ধ রাখা হচ্ছে।
রেমাল নিয়ে নয়া আপডেট
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ নিয়ে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের বিজ্ঞানী ড. সোমনাথ দত্ত বড় মন্তব্য করেছেন। তিনি আজ রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘২৬ মে মধ্যরাতের মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং বাংলাদেশ ও সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করতে পারে।’
কত দূরে রয়েছে ‘রেমাল’
আইএমডি জানাচ্ছে, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়তি বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ২২০ কিমি এবং সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ২১০ কিমি দূরে রয়েছে। ৯৫ থেকে ১০৫ কিমি বেগে হাওয়ার গতিবেগ নিয়ে এটি ধেয়ে আসছে। আজ মধ্যরাতের মধ্যে তীব্র আকার ধারণ করে বাংলা এবং বাংলাদেশ উপকূলে এটি আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। আজ রাতে কলকাতা, হাওড়া, হুগলিতে ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ৭০ থেকে ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। ফলে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ জারি করা হয়েছে।
ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা
আজ বাংলা সহ ওড়িশা উপকূলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির ভ্রূকুটি রয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আগে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে। রেমাল মোকাবিলায় সজাগ এনডিআরএফ দল থেকে শুরু করে বিভিন্ন উদ্ধারকারী দল। এই প্রসঙ্গে NDRF-এর ইন্সপেক্টর জাহির আব্বাস জানিয়েছেন,’ঘূর্ণিঝড়ের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। ঘূর্ণিঝড় এখানে আঘাত হানলে আমাদের সৈন্যরা সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। আমাদের দল তৈরি।’
কলকাতায় উচ্চ সতর্কতা জারি
আজ কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একের পর এক জেলায় কোথাও ভারী বৃষ্টি তো আবার কোথাও অতি ভারী থেকে অত্যাধিক বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। যেমন আজ ভারী বৃষ্টির জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া জেলায়।
অতি ভারী বৃষ্টির জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে নদীয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে। এদিকে অত্যাধিক ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে হুগলী, কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।