কলকাতাঃ দেশে যত সময় এগোচ্ছে ততই যেন সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। সাধারণ মানুষকে দফায় দফায় ফোন করে কীভাবে ফাঁদে ফেলা যায় তা নিয়ে নিত্য নতুন ফন্দি এঁটে চলেছে স্ক্যামাররা। অনেক সময়েই দেখা যায় বা শোনা যায় যে স্ক্যামাররা ফোন ব্যবহারকারীদের ফোন করে বলে যে তাঁদের মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এদিকে পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বহু মানুষ এমন কিছু কাজ করে ফেলেন যার দরুণ পরবর্তী সময়ে গিয়ে মাথা চাপড়ানো ছাড়া কোনও উপায় থাকে না। এবার এরকমই এক তথ্য প্রকাশ্যে উঠে এসেছে যা আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নিতে বাধ্য। বিশেষ করে আপনিও যদি বিএসএনএলের গ্রাহক হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে খুবই খারাপ খবর।
বড়সড় সাইবার হানা
এবার বড়সড় সাইবার হামলার শিকার হয়েছেন লক্ষ লক্ষ বিএসএনএল সিম ব্যবহারকারী। এক ধাক্কায় গ্রাহকদের 278GB অবধি স্পর্শকাতর তথ্য নাকি হ্যাকারদের হাতে চলে গিয়েছে। ইন্টেলিজেন্সের এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ‘kiberphant0m’ নামের এক হ্যাকার এই সাইবার হামলা চালিয়েছে বলে খবর। এই সাইবার হামলার ফলে হ্যাকাররা ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টিটি (আইএমএসআই) নম্বর, সিম কার্ডের তথ্য, বাড়ির ঠিকানা রেজিস্টার ডেটা এবং গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়েছে হ্যাকাররা বলে অভিযোগ।
ডেটা লঙ্ঘন সিম ক্লোনিং এবং পরিচয় চুরির ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ায়। এতে সাইবার অপরাধীরা ব্যবহারকারীর আসল সিম ক্লোন করে নেয়। এরপর হ্যাকারদের হাতে আপনার সব জরুরি তথ্য চলে যায়। হ্যাকাররা অরিজিনাল আইএমএসআই এবং অথেনটিকেশন কী ব্যবহার করে। এতে করে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর নম্বরে আসা মেসেজ ও কলে ঢুকে পরতে পারে এবং ব্যাংকের সব নথি হাতিয়ে নেয়। এ ছাড়া এই ডেটা লঙ্ঘন ব্যবহারকারীর গোপনীয়তারও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এছাড়াও, এই ধরনের ডেটা ফাঁস ব্যবহারকারীদের উপর ফিশিং এবং সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং আক্রমণের ঝুঁকি বাড়ায়।
লক্ষাধিক ডেটা চুরি
আপনি শুনলে হয়তো আঁতকে উঠবেন, এক রিপোর্টে উঠে এসেছে হ্যাকারের হাতে চুরি যাওয়া তথ্যের মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫ হাজার ডলার (যা কিনা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকা)। তবে চিন্তা নেই, ডেটা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরেও সিম ব্যবহারকারীরা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারেন। এ জন্য ফোন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সার্বক্ষণিক নজর রাখতে হবে যাতে কোনো ভুল কার্যকলাপ তাৎক্ষণিকভাবে ধরা পড়ে। এ ছাড়া ব্যবহারকারীদের সব অ্যাকাউন্টের জন্য টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন অ্যাক্টিভেট করতে হবে।