ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ বকেয়া এবং বর্ধিত হারে DA-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাজ্যের কর্মীরা। এই নিয়ে দফায় দফায় রাজ্যের সরকারি কর্মীদের সঙ্গে সরকারের বৈঠকও হয়েছে। তারপরেও বরফ গলেনি। এহেন অবস্থায় নতুন করে মুখ খুললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। DA নিয়ে এবার তিনি যা বললেন তা শুনে চমকে গিয়েছেন সকলে। আপনিও যদি রাজ্য সরকারি কর্মী হয়ে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
ডিএ নিয়ে বড় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
ডিএ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সাফ সাফ জানিয়েছেন যে রাজ্যের আর্থিক পরিস্থিতি যদি ভালো হয় তাহলে ডিএ এবং বাকি বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। আসলে কথা হচ্ছে হিমাচল প্রদেশ নিয়ে। সম্প্রতি হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেছেন, ছয় মাসের মধ্যে হিমাচল প্রদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল হবে, এর পরে অতিরিক্ত বকেয়া ও মহার্ঘ ভাতা সকলের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হবে। গত মঙ্গলবার সোলানে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি রাজনৈতিক লাভের জন্য সরকারি কোষাগারের অপব্যবহার হতে দেব না।” তিনি জোর দিয়ে বলেন যে বিদ্যুৎ ও জলের উপর ভর্তুকি যৌক্তিক করা হবে যাতে কেবল অভাবীরাই কাঙ্ক্ষিত সুবিধা পায়।
কবে বকেয়া মিলবে?
স্বাভাবিকভাবেই সকলের মুখে একটাই বক্তব্য, কবে বকেয়া টাকাকড়ি মিলবে? রাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সুখু বলেন, চলতি অর্থবর্ষে বর্তমান সরকার যে ১০০ টাকা খরচ করেছে, তার মধ্যে ২৫ টাকা বেতন, ১৭ টাকা পেনশন, ১১ টাকা সুদ বাবদ, ৯ টাকা ঋণ পরিশোধের জন্য, ১০ টাকা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য অনুদান এবং বাকি ২৮ টাকা মূলধনী ব্যয় ও অন্যান্য কাজে বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আরজি কর বিতর্কের মাঝেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের বোনাস বৃদ্ধি, বড় ঘোষণা নবান্নর
তিনি বলেন, রাজ্যে রাজস্ব ঘাটতি অনুদান হ্রাস পেয়েছে, যা ২০২১-২২ সালে ১০,০০০ কোটি টাকা থেকে কমে ২০২৫-২৬ সালের মধ্যে ৩,০০০ কোটি টাকা হয়েছে। ৭৫,০০০ কোটি টাকার আর্থিক ঋণ এবং পূর্ববর্তী বিজেপি সরকারের কাছ থেকে ১০,০০০ কোটি টাকার বকেয়া দায়বদ্ধতা সত্ত্বেও, বর্তমান কংগ্রেস সরকার কর্মচারীদের সাত শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) প্রদান করেছে এবং এই বছর ৭৫ বছরের বেশি বয়সী ২৮,০০০ পেনশনভোগীদের বকেয়া পরিশোধের পরিকল্পনা করেছে।