দামি মোবাইল গিফট, দশম শ্রেণির ছাত্রীকে সিঁদুর পরিয়ে বিয়ে প্যারা টিচারের! পূর্ব বর্ধমানে শোরগোল

Published on:

purbasthali student

পূর্বস্থলী: বাংলা যেন আছে বাংলাতেই। সে কলকাতা হোক কিংবা বীরভূম, পূর্বস্থলী, মেয়েদের সঙ্গে হেনস্থার ধারাবাহিকতা যেন থামার নামই নিচ্ছে না। বর্তমান সময়ে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সরগরম বাংলা। বাংলার অভয়াকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার মানুষ। চলছে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ। কিন্তু এই ঘটনার মাঝেই এবার পূর্বস্থলীতে এমন এক ঘটনা ঘটে গেল যার পরে নতুন করে মেয়েদের নিরাপত্তা প্রশ্নচিহ্নের মুখে এসে দাঁড়ালো। এবার এক স্কুল ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠল এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

স্কুল ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ

WhatsApp Community Join Now

আরজি কর-কাণ্ডের মাঝেই এক স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে যৌন হেনস্থার অভিযোগকে কেন্দ্র করে নতুন করে সরগরম হয়ে উঠল বাংলা। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নাদনঘাট এলাকায় এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, ‘ক্লাস করানোর নাম করে মেয়েকে ফোন কিনে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, মেয়েকে সিঁদুর অবধি পরিয়েছে শিক্ষক।’ স্বাভাবিকভাবে এহেন ঘটনাকে ঘিরে বাংলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পূর্বস্থলীর একটি স্কুলে প্যারা টিচার হিসেবে কাজ করেন ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে পসকো আইনে মামলা দায়ের সেইসঙ্গে কালনা আদালতে তোলা হয়।

ছাত্রীর মোবাইলে উত্তেজনা ছবি পাঠানোর অভিযোগ

ছাত্রীর পরিবার নাদনঘাট থানায় গিয়ে ‘গুণধর’ শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। সেইসঙ্গে জানানো হয়, মেয়ের মোবাইলে ওই শিক্ষক উত্তেজকমূলক ছবি পাঠিয়েছে। ছাত্রীর পরিবারের আরও অভিযোগ, মাস তিনেক আগে ওই নাবালিকাকে উচ্চ শিক্ষা দেবে বলে ২৭ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোবাইল কিনে দেয় ওই প্যারা টিচার। ছাত্রীকে বলা হয় ওই মোবাইল দিয়ে তাঁকে প্রতিদিন ভিডিও কলে ক্লাস করানো হবে। তবে মোবাইলটি লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে বলা হয় ছাত্রীকে। এরপরেই নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, ওই মোবাইলকে হাতিয়ার করেই তাঁদের মেয়েকে উত্তেজক ছবি পাঠাত অভিযুক্ত শিক্ষক। তা দেখেও ফেলে ছাত্রীর পরিবার।

আরও পড়ুনঃ কলকাতার থেকে অনেক সস্তা, বাড়ির কাছেই মেলে কম দামে সুস্বাদু ইলিশ! লিখে রাখুন ঠিকানা

এরপরের ঘটনা তো আরও চমকপ্রদ। ওই শিক্ষক নাবালিকাকে এক নিজর্ন জায়গায় ডেকে পাঠায় এবং তাঁকে সিঁদুর পরিয়ে দেয়। সিঁদুর পরা অবস্থাতেই মেয়েটির সঙ্গে ছবিও তোলে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এরপরেই গর্জে ওঠে ছাত্রীর পরিবার। অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। ব্যস এরপরেই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুক্রবার ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। ইতিমধ্যে ওই শিক্ষকের ৩ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কালনা আদালত বলে খবর।

সঙ্গে থাকুন ➥