ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটি নিয়ে এখনও বহু চর্চা করা হয়ে থাকে। যদিও বিজ্ঞানের যুগে সেই নিয়ে বিতর্কও কম হয় না। ভূতকে নিয়ে নানা রকমের এক্সপেরিমেন্ট চলতেই থাকে। যার মধ্যে প্ল্যানচেট অন্যতম। বলা হয় এই প্ল্যানচেটের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির আত্মার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব। কিন্তু আদৌ কতটা সম্ভব সেটা নিয়ে বেশ জটিলতা তৈরি হয় মাঝে মধ্যে। এবার এই প্ল্যানচেটের প্রসঙ্গ উঠে এল আরজি কর কাণ্ডে।
আরজি কর কাণ্ডে এবার প্ল্যানচেট রহস্য!
আরজি কর কাণ্ডের তদন্ত করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI। ১ মাস প্রায় শেষ হতে চলল। কিন্তু বিচারের এত দেরি হওয়ায় রাজপথে একের পর এক আন্দোলনের ক্ষোভ বাড়ছে। আর এই আবহে এক বিশেষ ইউটিউবার আরজি কর কাণ্ডের প্রেক্ষাপটে আবারও একবার প্ল্যানচেট নিয়ে নানা আলোচনা, সমালোচনা শুরু করেছে। তাঁদের দাবি, তাঁরা নাকি প্ল্যানচেটের মাধ্যমে নিগৃহীতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন। আর এই দাবি উঠতেই রীতিমত সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
কী বলছেন দেবরাজ ‘ডিটেক্টিভস অফ সুপারন্যাচরাল’ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা?
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বেশকিছু ইউটিউব চ্যানেলে এমন ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে ইউটিউবার প্ল্যানচেট করে নির্যাতিতার আত্মাকে ডেকেছেন। কিন্তু এমন একটা সিরিয়াস বিষয় নিয়ে এই ধরণের ছেলেখেলা মোটেই বরদাস্ত হচ্ছে না কারুর। অথচ সেই ভিডিয়ো নিমেষে লাখ লাখ মানুষ দেখছেন। কলকাতার ‘ডিটেক্টিভস অফ সুপারন্যাচরাল’ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেবরাজ স্যানাল জানিয়েছেন, বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে প্ল্যানচেটের মাধ্যমে কারও আত্মা টেনে আনা সম্ভব কিনা, তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা রয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁরা কখনও এমনটা করেননি। আর এই প্ল্যানচেট এর ক্ষেত্রে অনেক নিয়ম, কানুন মানা হয়। কোনো অলৌকিক শক্তিকে স্মরণ করা, প্ল্যানচেটে তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান ইত্যাদি কাজ নাকি করা হয় এই প্ল্যানচেটের মাধ্যমে।
যদিও এতে কতটা লাভ হয় বা আদৌ কিছু হয় কিনা, সেই বিষয়ে নানা মতামত প্রেরণ করে দেবরাজ। কিন্তু, আরজি কর কাণ্ডে যেভাবে নিগৃহীতার আত্মার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের দাবি করা হচ্ছে, সেই বিষয়ে তিনি তীব্র বিরোধিতা করেছেন। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে লক্ষ লক্ষ মানুষের আবেগ, সংগ্রাম জড়িয়ে রয়েছে। সেই আবেগকে এভাবে কাজে লাগিয়েই বেশ কিছু ইউটিউবার নিজেদের কন্টেন্টের ভিউ বাড়ানোর প্রচেষ্টা করছেন এবং তাতে তাঁরা সফলও হচ্ছেন। যা অত্যন্ত অনৈতিক ও অনভিপ্রেত। যেহেতু এই ঘটনা আদালতের বিচারাধীন। তাই এইভাবে এই ব্যাপার নিয়ে কনটেন্ট না বানানোই ভালো।