শ্বেতা মিত্র, হাওড়াঃ সামনেই রয়েছেই দুর্গাপুজো। আর আসন্ন এইটা দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে সকলেই প্রস্তুতির তুঙ্গে রয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকলেই কেনাকাটি করতে ব্যস্ত। অন্যদিকে শহর থেকে শুরু করে প্যান্ডেল বাঁধার কাজও রীতিমতো শেষের দিকে। তবে এসবের মাঝেই কাজ হারালেন হাজার হাজার মানুষ। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে গেল আস্ত একটা জুটমিল। যে কারণে কাজ হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে গেলেন হাজার হাজার মানুষ। ঘটনাকে কেন্দ্র কড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুজোর মুখে বন্ধ হয়ে গেল জুটমিল
দুর্গাপুজো আসতে আর মাত্র ১৫ দিন বাকি। সকলের প্রস্তুতিও তুঙ্গে। তবে এদিকে পুজোর মুখে জুটমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার জেরে মনে সুখ নেই হাওড়ার বহু মানুষের। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কোন জুটমিল আচমকা বন্ধ হয়ে গেল? তাহলে জানিয়ে রাখি, এবার রাতারাতি বন্ধ হাওড়ার দাসনগরের ভারত জুট মিল। যে কারণে পুজোর মুখেই চাকরিহারা হলেন মিলের কয়েক হাজার শ্রমিক।
কাজ হারালেন হাজার হাজার শ্রমিক
এমনিতে পুজোর সময়। সেখানে কেউ এখনো অবধি পুজোর বোনাস পাননি, বেতন-গ্রাচুয়িটির হিসাব-নিকেশ তো আরই দূর অস্ত। এহেন অবস্থায় আচমকাই জুটমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে মাথায় রীতিমতো চিন্তার বাজ ভেঙে পড়েছে সকলের। ঘটনার প্রতিবাদে জুটমিলের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন কর্মহারা শ্রমিকরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছেন এইটা বিক্ষোভ।
বন্ধ জুটমিল
আর পাঁচটা অন্যান্য দিনের মতো আজ বৃহস্পতিবার সকালেও জুট মিলের সামনে এসে হাজির হন শ্রমিকরা। কিন্তু তারপর এই গেটের সামনে যা দৃশ্য দেখেন তা দেখে সকলেই চমকে যান। সকাল ৬টার সময় দাসনগরের ভারত জুটমিলের কর্মীরা ডিউটিতে এসে কর্মীরা দেখে মিলের গেট বন্ধ। শুধু তাই নয়, গেটে ঝুলছে সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে জুটমিল। রাতারাতি এভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ায় স্তম্ভিত কর্মীরা। একে তো সামনে রয়েছে দুর্গাপুজো। আর এই দুর্গাপুজোর মুখে সকলেই চাকরি হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছেন। এখন তারা কী করবেন? এই চিন্তা এখন সকলকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। অনেকের এই একটাই কাজের জায়গা ছিল সেটিও এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে পরিবারের মুখে দুবেলা খাবার কীভাবে তোলা যাবে সেই নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন সকলে। এক কথায় সকলেই দিশেহারা হয়েছে গিয়েছেন।
জুটমিলের বাইরে ঝোলা নোটিসে বলা হয়েছে, তাঁত বিভাগের অবৈধ ধর্মঘটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে মালিক কর্তৃপক্ষ। এদিকেই নোটিশ দেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন জুটমিলের হাজার হাজার শ্রমিক। আদৌ এই ঘটনার সুরাহা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।