প্রীতি পোদ্দার: সময় যত এগোচ্ছে বাংলায় চাকরির বাজার ততই অবনতির পথে এগোচ্ছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে অফিস’-এর রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে যুবপ্রজন্মের কাছে সর্বনিম্ন বেকারত্ব হারের নিরিখে দেশের প্রথম দশে নাম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের। যেখানে পুরুষদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার ৮.৫ শতাংশে এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে বেকারত্বের হার ১০ শতাংশ। অনেকেরই স্বপ্ন থাকে সরকারী অফিসে স্থায়ী চাকরী করার। তেমনই আবার অনেকেরই আবার সম্মানের সঙ্গে পুলিশের ইউনিফর্ম পরার স্বপ্ন থাকে। তাই সেক্ষেত্রে পুলিশে চাকরির পাওয়ার জন্য নানা খাটনিও করে। এবার তাঁদের জন্য রাজ্য সরকার পুজোর আগে বড় সুখবর দিতে চলেছে।
পুজোর আগেই চাকরিতে বড় নিয়োগ!
গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে স্বাস্থ্য বিষয়ক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, সুপার, জেলার এসপি-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা অংশগ্রহণ করেন। নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়। তবে এই আলোচনার মাঝেই চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক দারুণ সুযোগ নিয়ে আসল প্রশাসন। জানা গিয়েছে পুজোর আগেই ১২ হাজার পুলিস নিয়োগ করা হবে। শূন্যপদগুলি এবার পূরণ হবে।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য ১০০ কোটি বরাদ্দ!
তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আদালতে এখন মামলা চলছে। সেই মামলার আইনি জট কাটলেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে নিরাপত্তার জন্য একাধিক নতুন থানা তৈরি হয়েছে। তার জন্য প্রয়োজন আরও বেশি পুলিশকর্মীর। আর তাই প্রয়োজন অনুসারে মাঝেমধ্যেই পুলিশে নিয়োগ করা হয়। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি আগ্রহী প্রার্থীরা। এছাড়াও এদিন প্রতিটি হাসপাতালের সুরক্ষা ব্যবস্থা অর্থাৎ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ করা ১০০ কোটি টাকা কীভাবে কাজে লাগাবেন সে বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশ অবসর নিয়েছেন। তাই অনেক পদগুলি ফাঁকা। এদিকে আরজি কর কাণ্ডের জেরে রাজ্যের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে বেশ উত্তপ্ত। আর সামনেই পুজো। তাই চারিদিকে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য কড়া নজর রয়েছে পুলিশের। আর সেই কারণে আরও বেশি পুলিশকর্মী দরকার ভেবেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী পুলিশে ফের নিয়োগের ঘোষণা করেছেন। আগামী সোমবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি হবে বলে জানা গিয়েছে এবং তারপর থেকেই আবেদনের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে।