প্রীতি পোদ্দার: গত ৯ আগস্টে ঘটা আরজি কর-কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ হয়েই চলেছে। পুজোর আনন্দ এক নিমেষেই পরিণত হয়েছে প্রতিবাদের পরিবেশে। দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলনের আঁচ। বারে বারে প্রশ্ন উঠছে আরজি কর ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। এমনকি সুপ্রিম কোর্টও পুলিশকে ‘কাঠগড়ায়’ তুলেছেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
জুনিয়র চিকিৎসকদের চাপে পদ বদলি বিনীত গোয়েলের
প্রথম থেকেই কলকাতা পুলিশের কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলের (Vineet Kumar Goyal) পদত্যাগের দাবিতে পথে নেমেছিলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। টানা কয়েক দিন স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধর্না-অবস্থানও করেন তাঁরা। লাগাতার আন্দোলনের জেরে এক প্রকার বাধ্য হয়ে শেষে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে বিনীত গোয়েলকে পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পদ থেকে সরে গেলেও শনির দশা যেন তাঁর পিছুই ছাড়ছে না। এবার বড় সমস্যার মুখোমুখি হতে হল বিনীত গোয়েলকে।
বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা
জানা গিয়েছে, গত ৯ আগস্ট আরজি কর এর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার দিন সংবাদমাধ্যমের সামনে এবং ওপেন ক্যামেরার সামনে একাধিকবার নির্যাতিতা নিহত মহিলা চিকিৎসকের নাম উচ্চারণ করেন কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। কিন্তু সেটি সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধ। তাই এই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে উত্থাপন করেন কয়েকজন আইনজীবী। এই ঘটনায় বিনীত গোয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরুর দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও দায়ের হয় মামলা। কিন্তু বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের বিচারাধীন থাকায় বিষয়টি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে অস্বীকার করে কলকাতা হাইকোর্ট।
২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে বিনীতের!
এর পর চলতি সপ্তাহে বিষয়টি ফের সুপ্রিম কোর্টে উত্থাপিত হলে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্যকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন। এর পর ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মামলাকারীর আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি। কারণ এইমুহুর্তে হাইকোর্টে মামলাটির শুনানি শুরু করতে কোনও বাঁধা নেই। জানা গিয়েছে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে দ্রুত শুনানির আবেদন গ্রহণ করেছেন। আগামী সোমবার অর্থাৎ চতুর্থীর দিন মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। যদি এই অভিযোগে বিনীত গোয়েল দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাঁর ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।