প্রীতি পোদ্দার: এমনিতেই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ত্যাগ করার পর থেকেই বাংলাদেশে আর্থিক সংকট দেখা দিচ্ছে। ইলিশ মাছ থেকে শুরু করে শাক সবজি সব কিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। আর অপরদিকে পাকিস্তানের অবস্থাও দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এক দিকে চরম আর্থিক সঙ্কট তার উপর আবার গৃহযুদ্ধের চাপ। না পারছে গিলতে না পারছে সইতে। লাহোর, মুলতান, ইসলামাবাদ থেকে শুরু করে রাওয়ালপিন্ডির থেকে একটাই স্লোগান ভেসে আসছে, আর সেটি হল ‘আজাদি’-র স্লোগান।
থামেনি পাকিস্তানের গৃহযুদ্ধ
গত সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। অনেকদিন ধরেই জেলবন্দি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাই সেই নিরিখে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের নেতৃত্বে গণবিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ইমরানকে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি তুলেছে এই দল। শুধু তাই নয়, পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজের নেতা তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর হয়ে উঠেছে যে রীতিমত হাঁটু কাঁপছে পাক প্রশাসনের।
নির্বিচারে লাঠি ও কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়ছে পুলিশ
ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে রাস্তায় নেমেছে পাক রেঞ্জার্স। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বিক্ষোভের একাধিক ছবি প্রকাশ্যে এনেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে বিক্ষোভকারীদের উপর নির্বিচারে লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটাতে দেখা গিয়েছে। কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছে ট্যাঙ্ক। এমনকি বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানোর সাহস পাচ্ছেন সেনা অফিসার ও জওয়ানেরা। তবে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যাঁরা ইমরানের কট্টর সমর্থক তাঁদেরকে নাকি পাক গুপ্তচর সংস্থা ‘ইন্টার সার্ভিভেস ইন্টেলিজেন্স’ সরিয়ে দিচ্ছে।
তবে এমন পরিস্থিতি যে হতই তা আগে থেকেই বুঝে গিয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ২০২২ সালে জুন মাসে তিনি বলেছিলেন , ‘‘প্রথম দেশটা দেউলিয়া হবে। তার পর আমাদের পরমাণু হাতিয়ার ও পরমাণু সম্পত্তি কেড়ে নেবে। ফলে বাধবে গৃহযুদ্ধ। তখন দেশটাকে তিন টুকরো হওয়া থেকে কেউ বাঁচাতে পারবে না।’’ আসা করা হচ্ছে ভাগ হয়ে যাওয়া এই টুকরো গুলি হবে পঞ্জাব, সিন্ধু, বালুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়া। আর এই ভাগের মূল কারণ হবে ভিন্ন জনজাতি, ভাষা ও সংস্কৃতি। তবে এছাড়াও পাকিস্তান আর্থিক সঙ্কটের কারণেও ভেঙে টুকরো টুকরো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।