প্রীতম সাঁতরা, কলকাতাঃ শনিবার বিকেলের উইকেটের ওপর থেকে আম্পায়ার যখন বেল তুলে নিলেন তখন স্টেডিয়ামের ওপর ঘন কালো মেঘ, তখন পাঁচটাও বাজেনি কমে এসেছিল আলো। এদিনের মতো খেলা শেষ। সরফরাজ খানও তাঁর জীবনে মেঘে ঢাকা সময় কাটিয়ে এসেছেন। শেষ হওয়ার মুখে পড়েছিল সরফরাজের (Sarfaraz Khan) কেরিয়ার।
কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি, প্রথম ১৫০ রান সরফরাজ খানের
ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইয়ের প্রচুর রান করে সরফরাজ খান এসেছেন জাতীয় দলে। এখন তিনি তারকা। নিউজিল্যান্ডের মুখের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার মতো ইনিংস খেলেছেন, একার হাতে করেছেন পুরো ১৫০ রান। বেঙ্গালুরু যে মাঠে ভারত ৪৬ রানে দশ উইকেট হারিয়েছিল, সেই একই মাঠে প্রায় ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সরফর করলেন সেঞ্চুরি, পরের দিন ১৫০।
কিছু তথ্য থেকে যায় রেকর্ড বুকের বাইরে
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে ১৯০ বলে ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। মুম্বইকরের এই ইনিংসের কথা রেকর্ড বুকে লেখা থাকবে, অনেকে বহু দিন মনেও রাখবেন। কিন্তু আড়ালে থেকে যাবে সরফরাজ খানের জীবনের অন্যতম কঠিন সময়ের কথা। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল বয়স ভাঁড়ানোর মতো গুরুতর অভিযোগ।
অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল সরফরাজ খানের কেরিয়ার | Sarfaraz Khan Career
বয়সের কারণে সরফরাজ খানের কেরিয়ার এক সময় শেষ হতে বসেছিল। দাবি করা বয়সের সঙ্গে নাকি তাঁর হাড়ের বয়স মিলছিল না। এরপর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে খান পরিবার প্রমাণ করে যে সরফরাজের বয়স ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার জন্য যথাযথ। এরপর কনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে মুম্বইয়ের হয়ে খেলা শুরু করেন সরফরাজ খান। বাকিটা ইতিহাস, তিনি এখন দেশের অন্যতম সেরা উঠতি ব্যাটার। সরফরাজ ক্রিকেট খেলা শিখেছিলেন তাঁর বাবার কাছে। ভাই মুশির খানও দাদার মতো একজন ক্রিকেটার, খেলেন ডোমস্টিক ক্রিকেট।