‘আরেকটা সন্দীপ ঘোষ হতে দেব না’, এবার অন্য মেডিক্যালের দুর্নীতি ফাঁস করলেন আখতার আলি

Published on:

corruption allegation

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত ৯ আগস্ট গভীর রাতে আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হতেই হাসপাতালে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। আর এই দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে নিয়ে আসার পিছনে অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন আখতার আলি। তিনি আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়ে বহুদিন ধরে সরব হয়েছিলেন। তাঁরই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। যার জেরে আপাতত গরাদে রাত কাটছে সন্দীপ ঘোষের।

আরজি করের পর উঠে এল আরও এক হাসপাতালের নাম!

WhatsApp Community Join Now

আর এবার একইভাবে দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এল আরও একটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে। আর সেটি হল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রেও যেমন সেখানে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। ঠিক তেমনই বিভিন্ন টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে কোভিডের সময় থেকেই নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে। কিন্তু সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া একদমই স্বচ্ছল ছিল না। এখানেও ছিল দুর্নীতি। টাকার বিনিময়ে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু অভিযোগ ওঠে কোভিড শেষ হয়ে যাওয়ার পরেই তাঁদেরকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁরা বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলেও কোনো লাভ হয়নি। এমনকি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছেও দ্বারস্থও হয়েছিলেন তাঁরা। আজও তাঁরা আশায় আছেন নিয়োগ প্রক্রিয়ার।

বিস্ফোরক মন্তব্য আখতার আলির!

এদিকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার আখতার আলি জানান, যাঁরা দেড় বা ২ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁরাই সব স্বীকার করেছেন। সেই ফুটেজও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সব জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমার সন্দেহ এর পিছনে কোনও সরকারি কর্মীর হাত আছে। তাই আমি থাকতে দ্বিতীয় আরজিকর হতে দেব না। দ্বিতীয় সন্দীপ ঘোষ তৈরি হতে দেব না। তাই গোটা বিষয়ের তদন্ত হোক।” এই বিষয়ে চিকিৎসক রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “৩৭ জন নিরাপত্তার রক্ষী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ।”

এদিকে আবার টাকার বিনিময়ে বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে এই হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে থাকা বেসরকারি হাসপাতালের এক ঠিকাদারকে। যাকে কিনা ব্ল্যাক লিস্টে রেখেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। আর এই এবহেই প্রশ্ন উঠছে তারপরও তারা কীভাবে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বরাত পেল।

সঙ্গে থাকুন ➥
X