প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সময় যত এগোচ্ছে শহরে বাস পরিবহন ব্যবস্থার চিত্র দুর্বিসহ হয়ে পড়ছে। কমছে বাস, কমছে রুট। অবস্থা এমনই যে সরকারি বাস এর রুট কমতে কমতে এখন একদম তলানিতে। সুস্পষ্ট পরিবহণ নীতির অভাব এবং রক্ষণাবেক্ষণে হাজারো গাফিলতিতে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি বাসের সঙ্কটে ভুগছে শহর থেকে শহরতলি। এই সঙ্কট আরও তীব্র আকার নিচ্ছে একের পর এক সরকারি বাস রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ায়। আর এই আবহে আরও ১০০ টি বাস রুট বন্ধের আভাস পাওয়া গিয়েছে।
১০০টিরও বেশি বাস রুট বন্ধ!
পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা গিয়েছে বছরখানেক আগে দৈনিক গড়ে ২,৫০০টি সরকারি বাস মহানগরীর রাস্তায় চলাফেরা করত। কিন্তু সেই সংখ্যা এবার কমে দাঁড়িয়েছে ৭০০ তে। অর্থাৎ গত ৭ থেকে ৮ বছরে শহর থেকে শহরতলিতে প্রায় ১০০টিরও বেশি বাস রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ক্রমশ কমতে কমতে এই বাসের পরিমাণ কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন পরিবহণ দফতরের কর্মীরা। এদিকে বসে যাওয়া সরকারি বাসগুলিকে ছ’মাসের জন্য লিজে দেওয়া হয়ে থাকে বিভিন্ন বেসরকারি রুটের বাস মালিকদের সেগুলিকে। কিন্তু, লিজ বাবদ অতিরিক্ত টাকা হওয়ায় বেসরকারি বাসের মালিকরা নিতে চাইছে না।
মাথায় হাত পড়েছে বাস চালকদের
এদিকে জানা যাচ্ছে, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে প্রায় ১৫০০ বাস কলকাতা থেকে উধাও হয়ে যেতে চলেছে। করোনার আগে কলকাতায় ৪ হাজার ৮৪০টি বেসরকারি বাস চলাচল করত। আর এখন শহরের রাস্তায় চলে মোটে ৩ হাজার ৬১৫টি বাস। আর কোভিডের আগে যেখানে মিনিবাসের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬৪। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৯৮-এ। অবশ্য এই তথ্য প্রকাশের পরেও নাকি আরও ৫৫০টি বাস বসে গিয়েছে শহরে। যার জেরে মাথায় হাত পড়েছে বাস চালকদের।
এরই মাঝে আবার সরকারের তরফ থেকে বেশ কিছু বিদ্যুৎ চালিত বাস নামানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাতে অবশ্য অবস্থার উন্নতি ঘটেনি। যদিও পরিবহণ মন্ত্রী এই নিয়ে দাবি করেছেন, শীঘ্রই বিএস-৬ বাস নামবে কলকাতার রাস্তায়। তাতে সমস্যার সমাধান হয়ত কিছুটা হলেও কমতে চলেছে।