প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নভেম্বর প্রায় শেষের পথে। আর যতই মাস শেষের পথে এগোচ্ছে ততই যেন শীতের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। ভোরবেলায় অধিকাংশ জেলায় কুয়াশা চাদর বিছিয়ে রাখলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের ঝলক যেন মনোরম করে তুলছে পরিবেশ। আপাতত এই মনোরম আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গ থেকে উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত সর্বত্র অনুভূত হচ্ছে। আর এই আবহে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে চলেছে পূর্ব নিরক্ষীয় ভারত মহাসাগর এবং সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের উপরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত।
ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করছে এই ঘূর্ণাবর্ত
মৌসম ভবনের তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, গত শনিবার বঙ্গোপসাগরের ওপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এবং সেই নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর এই আবহেই আজ অর্থাৎ সোমবার দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের রূপ নেবে এই নিম্নচাপ। শ্রীলঙ্কা ও তামিলনাড়ুর উপকূল লক্ষ্য করে এই নিম্নচাপের অভিমুখ স্থির হয়েছে। যার ফলে অনেক রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অসম, মেঘালয়, তামিলনাড়ু, কেরল এবং পুদুচেরির মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলি এর জেরে বিশেষভাবে প্রভাবিত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
রাজ্য জুড়ে এখন শীতের মেজাজ চলছে। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। মূলত পরিষ্কার আকাশ রয়েছে। পশ্চিমের এলাকাগুলিতে শীতের দাপট অনেকটাই বেড়েছে। পুরুলিয়ায় সর্বনিম্ম তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে৷ হাওয়া অফিসের তরফে কয়েকটি জেলায় মাঝারি কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে রয়েছে। দিনের শুরুতে পশ্চিম বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর দক্ষিণবঙ্গের দুই জেলা – দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
দক্ষিণবঙ্গের মতই উত্তরবঙ্গে একই আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকালের দিকে হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। আপাতত ঘন কুয়াশার কোনও সতর্কবার্তা নেই। তবে বেলা বাড়লে পরিষ্কার হবে আকাশ৷ মাঝারি কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদা জেলাতে।