প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কয়েক মাস আগে কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট করেছিলেন, যা আলোড়ন ফেলেছিল নেট দুনিয়ায়। তিনি লিখেছিলেন, “কলকাতা বিমানবন্দরে একটি রেস্তোরাঁয় চা খেতে গিয়েছিলাম। সেখানে গরম জল ও টি-ব্যাগের দাম নিয়েছে ৩৪০ টাকা!” মাত্র এক কাপ চায়ের দাম ৩৪০ টাকার এই তথ্য সামনে আসার পর চর্চা শুরু হয়ে যায়। নিত্যযাত্রীদেরও অভিযোগ, বিমানবন্দরে চা, কফির দাম এতটাই বেশি যে সেখানে কোনো কিছু কেনার সামর্থ্য সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে।
বিমানবন্দরে চায়ের দাম মাত্র ১০ টাকা!
এয়ারপোর্টে এক বোতল জল কিনতেও অনেকে দু’বার ভাবে। এমনকি এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা। আর এবার এই নিয়ে কেন্দ্রের এয়ারপোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া নড়েচড়ে বসেছে। আম জনতার সাধ্যের মধ্যে চা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’ নামে চালু করা হয়েছে সকলের জন্য। সেখানে এক কাপ চায়ের দাম মাত্র ১০ টাকা। এছাড়া জলের বোতল ১০ টাকা, কফি ২০ টাকা, একটি সিঙাড়া ২০ টাকা এবং একটি মিষ্টি ২০ টাকা। এই দাম শুনে হতবাক রাজ্যবাসী। আর এই অসম্ভব সমস্যা সমাধানের পিছনে রয়েছে আম আদমি পার্টি।
পরিবর্তনের পিছনে আম আদমি পার্টি!
চলতি বছরের শীতকালীন অধিবেশনে আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা বিমানবন্দরের নানা সমস্যা নিয়ে কথা বলেছিলেন। সেখানে তুলে ধরা হয়েছিল খাবারের অতিরিক্ত দাম থেকে শুরু করে দীর্ঘ লাইন ও চড়া টিকিটের দামের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তির কথা। অনেকেই তাঁর এই সমস্যার সঙ্গে সহমত হয়েছিলেন। আর সেই সমস্যা এবার সমাধানের পথে পরিণত হওয়ায় সকলেই বেশ খুশি। এক্স হ্যান্ডেলে রাঘব চাড্ডা পোস্ট করে এই বিষয়ে জানান, “পরিবর্তন দেখে খুব খুশি! শীতকালীন অধিবেশনে আমি বিমানবন্দরে খাবারের দামের ইস্যুটি তুলে ধরার পরই কলকাতা বিমানবন্দরে চায়ের দাম কমানো হয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “এটা আমাদের নাগরিকদের জয় এবং এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ হতে পেরে আমি গর্বিত। আপনারাই বলুন আগামী অধিবেশনে কোন ইস্যু তুলে ধরব আমি?” অন্যদিকে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নাইডু কিঞ্জারাপ্পু জানান, “কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ান যাত্রী কাফে পাইলট প্রজেক্ট। পরবর্তীকালে দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরেও এই সুযোগ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।”