শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ প্রত্যেকটা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী একটা জিনিসের দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছেন। আর সেটা হল অষ্টম বেতন পে কমিশন (8th Pay Commission)। কবে কেন্দ্রীয় সরকার সপ্তম বেতন পেলে কমিশন ভেঙে নতুন পে কমিশনের গঠন করবে সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন সকলে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে কয়েক দফায় সরকারের সঙ্গে আলোচনা অবধি সেরে ফেলেছেন কর্মীরা। সপ্তম বেতন কমিশন শেষ হতে চলেছে চলতি বছরের শেষে, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫। এই পরিস্থিতিতে সরকার কি অষ্টম বেতন কমিশন ঘোষণা করবে নাকি তার জায়গায় নতুন বেতন নির্ধারণের ফর্মুলা চালু করা হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
অষ্টম বেতন পে কমিশন নিয়ে সরকারের নতুন ভাবনা
তথ্য অনুযায়ী, সরকার এখন Aykroyd ফর্মুলা বিবেচনা করছে। সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে ফিটমেন্ট ফ্যাক্টরের ভিত্তিতে কর্মীদের বেতন বাড়ানো হয়েছিল। তবে এবার সরকার প্রতিবছর বেতন সংশোধনের প্রস্তাব আনতে পারে। এর আওতায় মুদ্রাস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বেতন সংশোধন করা হবে।
সরকারের প্রকল্প অনুযায়ী প্রতি বছর মূল বেতন বাড়ানো হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পারফরম্যান্স-লিঙ্কড ইনক্রিমেন্টের ভিত্তিতে এই নতুন ব্যবস্থা কার্যকর করা যেতে পারে। যাইহোক, অন্যদিকে সূত্রের খবর, কোটি কোটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের সম্ভাব্য ধাক্কা দিয়ে কেন্দ্র অষ্টম বেতন কমিশন গঠন নাও করতে পারে এবং সম্ভবত বেতন প্যানেল ব্যবস্থার অবসান ঘটাতে পারে।
অষ্টম বেতন পে কমিশন লাগু করবে না সরকার?
মোদী সরকার ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি কার্যকর করেছে এবং প্যানেলের মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সপ্তম বেতন কমিশনের আগে চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের কার্যকালের মেয়াদ ছিল ১০ বছর। এই কারণেই কর্মচারী এবং তাদের ইউনিয়নগুলি অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বেতন প্যানেলের মেয়াদ নির্দিষ্ট নয়, যা বহুল প্রচলিত। এখন নতুন পদ্ধতির খবরে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্পই হাতিয়ার, বাড়ি বসে কাজ করে ভালো আয় মহিলাদের
সরকার ও কর্মচারী প্রতিনিধিদের মধ্যে সাম্প্রতিক সমস্ত বৈঠকের সূত্রটি প্রকাশ করেছে, “সরকার আগের মতো নতুন বেতন কমিশন গঠনের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের বেতন ও পেনশন সংশোধনের জন্য অন্য উপায়ে চিন্তাভাবনা করছে।” এর আগে রিপোর্টে এও বলা হয়েছিল যে কেন্দ্র বেতন কমিশনের পরিবর্তে একটি নতুন ব্যবস্থা আনার কথা বিবেচনা করতে পারে, যা ঐতিহ্যগতভাবে সরকারী কর্মচারীদের বেতন ও পেনশন সংশোধন করার জন্য প্রায় ১০ বছরের ব্যবধানে সুপারিশ করে থাকে।
সুপারস্টার কালচার শেষ করতে চান গম্ভীর? অভিযোগ উঠতেই ডানা ছাঁটার প্রস্তুতি BCCI-র