Indiahood-nabobarsho

৩১ জানুয়ারি শেষ সুযোগ, রাজ্য সরকারের জনদরদি প্রকল্পে নাম লেখালেন ২১ লক্ষ মানুষ

Published on:

nabanna government of west bengal

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: রাজ্যের সাধারণ মানুষের স্বার্থে একের পর এক সহায়কমূলক প্রকল্প চালু করে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। স্বাস্থ্য সাথী থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, যুবশ্রী ইত্যাদি নানা সরকারী প্রকল্পের গ্রাহকেরা নির্দিষ্ট ভাতার মাধ্যমে স্বনির্ভর হতে পেরেছেন। ঠিক তেমনই কৃষকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। খরা, বন্যা, আবহাওয়ার বিভিন্ন সমস্যার কারণে কৃষকদের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। কৃষকদের এই ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি প্রকল্প হল বাংলার শস্য বীমা প্রকল্প।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

রাজ্য সরকারের বড় পদক্ষেপ!

আসলে বাংলার শস্য বিমা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল সেই সকল কৃষকদের জন্য যাঁদের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি কোনও কারণে যদি কৃষক চাষাবাদ না করতে পারে সেক্ষেত্রেও দেওয়া হয়ে থাকে এই ক্ষতিপূরণ। আসলে রাজ্য সরকার কৃষকদের হয়ে এই বিমার প্রিমিয়াম দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি যাচাই করে দেখা হয়। উপযুক্ত তথ্য হাতে নেওয়ার পর যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়। এবং ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ওই টাকা পাঠানো হয়। গত বছরও ফসলের ক্ষয় ক্ষতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছিল। এরপরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

নথিভুক্ত হয়েছে ২১ লাখ কৃষকের নাম

জানা গিয়েছে গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে বাজেটে ধানের পাশাপাশি আলুর ক্ষেত্রেও বাংলার শস্য বিমা প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। এই প্রিমিয়াম রাজ্যই বহন করবে বলেও ঘোষণা হয়। ফলে এবারই প্রথম রবি মরশুমে আলু চাষের জন্য এই সুবিধা পেতে চলেছেন কৃষকরা। এদিকে অন্যান্য বছরে যত জন আলুচাষি নাম নথিভুক্ত করান, সেই সংখ্যা এ বছর ইতিমধ্যে পার করে গিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। এখনও পর্যন্ত রবি মরশুমের জন্য বাংলা শস্যবিমায় নাম নথিভুক্ত করেছেন ২১ লক্ষ কৃষক। এক্ষেত্রে নাম নথিভুক্তকরণ চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ফলস্বরূপ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহল।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আরও পড়ুনঃ সিগন্যাল নেই? এবার যেকোনো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন BSNL, Jio, Airtel-র গ্রাহকরা

দফায় দফায় শুরু হয়েছে টাকা পাঠানো

বাংলার কৃষকদের জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে শস্যবিমা খাতে ৩৫০ কোটি টাকা প্রিমিয়াম দিয়েছে। খরিফ মরশুমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গত ৮ জানুয়ারি থেকে ওই টাকা পাঠানো শুরু হয়েছে। চাষিরা প্রত্যেক বছর এই ক্ষতিপূরণ পান জানুয়ারি মাসের শেষে বা ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায়। ফলে এবার রেকর্ড সময়ের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন রাজ্যের কৃষকরা। এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি নবান্নে এক বৈঠক হয়। প্রত্যেক জেলার কৃষি ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন দপ্তরের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃ পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে অনুশীলন, আদৌ ফিট শামি? চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে বাড়ল গুঞ্জন

গত শুক্রবার নবান্নের কৃষি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওঙ্কার সিং মিনাও। এই বৈঠকেই কৃষকদের স্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর নেওয়া প্রকল্পের সমস্ত সুবিধা একেবারে নিম্নস্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি কৃষিক্ষেত্রের প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে পর্যালোচনাও করেন দপ্তরের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও পদস্থ কর্তারা। তাঁর মতে, দেশের মধ্যে একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই কৃষকদের জন্য বিমার প্রিমিয়াম দিচ্ছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group