পর্যটকদের জন্য সুখবর! ভারত-চিন চুক্তির জেরে ৫ বছর পর খুলছে কৈলাস মান সরোবর যাত্রার রাস্তা

Updated on:

india china agreement to resume kailsah man sarovar yatra after 5 years

শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ প্রতীক্ষার অবসান, ফের একবার শুরু হতে চলেছে মানস সরোবর যাত্রা (Kailash Man Sarovar Yatra)। জানা গিয়েছে, ভারত ও চীন কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা পুনরায় শুরু করতে সম্মত হয়েছে। ভারতের মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ভারত ও চিনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০২০ সাল থেকে যাত্রার দুটি সরকারি রুটই ভারতীয়দের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে ফের একবার শুরু হতে চলেছে এই যাত্রা বলে খবর। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ভারত ও চিনের মধ্যেকার সম্পর্ক ক্রমে উন্নতির পথে এগোচ্ছে?

ফের শুরু হচ্ছে মানস সরোবর যাত্রা

হিন্দুরা বিশ্বাস করেন যে কৈলাস মানস সরোবর ভগবান শিবের বাসস্থান। সেই কারণেই কৈলাস মানস সরোবরে প্রচুর মানুষ আসেন। ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি বেইজিং সফরে রয়েছেন। সেখানে তিনি চিনের বিদেশ সচিব ও অন্যান্য মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন। অক্টোবরে কাজানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকে সম্মত হওয়া দু’দিনের বৈঠকের অনুসরণে, উভয় পক্ষ ভারত-চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবস্থা ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করেছে এবং সম্পর্ক স্থিতিশীল ও পুনর্নির্মাণের জন্য কিছু জনকেন্দ্রিক পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।

বড় ঘোষণা বিদেশ মন্ত্রকের

WhatsApp Community Join Now

বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, আন্তঃসীমান্ত নদী নিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়েছে দু’দেশই। এ বিষয়ে ভারত ও চিনের মধ্যে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের আলোচনা শীঘ্রই শুরু হবে। ভারত ও চিন মানুষে-মানুষে যোগাযোগ বাড়াতে সম্মত হয়েছে, বিশেষ করে গণমাধ্যম ও থিংক ট্যাংকগুলোর মধ্যে।

বিবৃতিতে বলা হয়, দুই দেশ একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগ বিবেচনা করতে বৈঠক করা হবে। এ ছাড়া উভয় দেশ জটিল যে কোনো সমস্যা সমাধানে স্বচ্ছতা ও পারস্পরিক সমঝোতা ও সহযোগিতার আশ্রয় নেবে।

আরও পড়ুনঃ আসবে ২০টি দেশ, হতে পারে AI হাবের ঘোষণা, বাণিজ্য সম্মেলন ২০২৫-র দিনক্ষণ জানাল রাজ্য

কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা

হিন্দু, জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মে কৈলাস মানস সরোবরের গুরুত্ব অপরিসীম। হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, কৈলাস ভগবান শিবের বাসস্থান। একই সঙ্গে জৈন ধর্মের বিশ্বাস অনুসারে প্রথম তীর্থঙ্কর ভগবান ঋষভদেব এখানে নির্বাণ লাভ করেছিলেন। বৌদ্ধ ধর্মে, এই স্থানটিকে মহাবিশ্বের কেন্দ্র হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

২০২০ সালে ভারত-চিন বিবাদের আগে চিনের মাধ্যমে প্রতি বছর হাজার হাজার ভারতীয় এখানে বেড়াতে আসতেন। ২০২০ সালের পর চিন এখানে আর ভ্রমণের অনুমতি দেয়নি। এই সফরকে কেন্দ্র করে ভারত ও চিন বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X