প্রীতি পোদ্দার, হিলি: ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা যত দিন যাচ্ছে ততই যেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। একের পর এক অনুপ্রবেশ কারীদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষজন। কখনও জমির শস্য নস্ট করা হচ্ছে তো কখনও আবার দেখা যাচ্ছে রাতের অন্ধকারে BSF কর্মীদের চোখের আড়ালে সীমান্তের জাল টপকে গা ঢাকা দিচ্ছে। আর এবার বাংলাদেশের দুষ্কৃতীর মারে রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের। এমনকি মারধরের পর আবার চম্পট দেয় বাংলাদেশের দিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সহায় দিল না। পুলিশের জালে অবশেষে ধরা পড়ল অভিযুক্ত।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর ভারত – হিলি থানার ধলপাড়া পঞ্চায়েতের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারের ভারতীয় ভূখণ্ডের শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা মচ্ছিরউদ্দিন মণ্ডল এর বাড়িতে গত শনিবার রাতে তল্লাশি অভিযান চালায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী BSF। সেই সময় সময় সাক্ষী হিসাবে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওই গ্রামেরই স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অরুণ মাহাতো। তিনিও ওই গ্রামের বাসিন্দা। তিনিই নাকি মচ্ছিরউদ্দিন এর বাড়ি চিহ্নিত করে দিয়েছিলেন। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
অবশেষে পুলিশের জালে মচ্ছিরউদ্দিন
গত রবিবার সকালে চাষের কাজে যখন বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন অরুণবাবু ঠিক তখনই তাঁর পথ আটকায় মচ্ছিরউদ্দিন ও তাঁর দলবল। BSF কে তাঁর বাড়ি দেখিয়ে দেওয়ায় অরুণবাবুকে ব্যাপক মারধর করে মচ্ছিরউদ্দিন ও তাঁর দলবল। এবং তারপরেই বাংলাদেশের দিকে পালায় দস্যুরা। সেখানেই বেশ খানিকক্ষণ লুকিয়ে ছিল সে। তারপরে ভারত ভূখণ্ডে ফেরার চেষ্টা করলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে হিলি থানার পুলিশ। আর পুলিশের জালে পড়া মাত্রই মচ্ছিরউদ্দিন মণ্ডল এর বিরুদ্ধে দেখা যায় হিলি থানায় তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা রয়েছে। অবৈধ চোরাচালান, অনুপ্রবেশকারীদের এ দেশে ঢোকানোর চক্রে ভিন রাজ্যেও মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এ দিন, অরুণ মাহাতো তাঁর উপর হামলার কারণ বিস্তারিত ভাবে জানান। তিনি বলেন, “বিএসএফ এলাকায় গিয়েছিল। আমায় জিজ্ঞাসা করছিল এটা মছিরুদ্দিনের বাড়ি? আমি বললাম হ্যাঁ স্যার। আজ সকালে চাষের কাজে যাচ্ছিলাম। সেই সময় আমায় মারধর করেছে।” অবশেষে গতকাল হিলি থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত মচ্ছিরউদ্দিন মণ্ডল। এদিন ধৃতকে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হলে দুদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুরো ঘটনা খতিয় দেখা হচ্ছে বলে জানান ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ।