প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: আর মাত্র ৪ দিন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik 2025)। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে পড়ুয়ারা। সাজেশনগুলিতে এখন বেশ ভালো করে নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে এর মাঝেই আরও এক গুরুতর সমস্যার সম্মুখীন হতে হল পড়ুয়াদের। এখনও মাধ্যমিক অ্যাডমিট কার্ড পায়নি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া। অনলাইনে ফর্ম ফিল-আপ করতে গিয়েই হল এই বিপত্তি। যা নিয়ে এবার জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে।
আদালতের দ্বারস্থ অভিভাবকেরা
জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষার উত্তেজনা যেখানে তুঙ্গে সেখানে এই অ্যাডমিট কার্ড বিপত্তি যেন পরীক্ষার্থী সহ অভিভাবকদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। আসলে মাধ্যমিকের এই অ্যাডমিট কার্ড না থাকলে কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারবে না। এবিষয়ে গতকাল স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ পরীক্ষার্থীর অভিভাবকরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করলেও কোনও লাভ হয়নি বলে খবর। যার জেরে ডিরোজিও ভবনের বাইরে বিক্ষোভও দেখান পড়ুয়া ও অভিভাবকরা। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি। কারণ, পর্যদের তরফে নাকি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই বিষয়ে এখন আর কিছু করার নেই। শেষে বাধ্য হয়ে এবার আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন অভিভাবকরা।
কবে মামলার শুনানি হবে?
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বুধবার মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। পড়ুয়া, তাদের বাবা-মা এবং প্রধান শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, অনলাইনে ফর্ম ফিল-আপ করতে গিয়ে কিছু ভুল ত্রুটি হয়েছে। তার জেরেই তৈরি হয়েছে জটিলতা। আর এই মামলার গুরুত্ব উত্থাপন করে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। তিনি ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় উচ্চ আদালতে মামলা রুজু করার অনুমতি দিয়েছেন। জানা গিয়েছে আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুনঃ প্রয়াগরাজে যেতে পারেননি? চিন্তা নেই, হুগলীর ত্রিবেণীতে শুরু হচ্ছে কুম্ভস্নান, জানুন কবে
এই অবস্থায় সকলেই আজ হাইকোর্টে মামলার রায় নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারণ এই রায়ের ওপরেই ৫০ জন পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। চিন্তিত অভিভাবকরা বলছেন, যদি এই টানাপোড়েনের জন্য তাঁদের সন্তানরা এবছর পরীক্ষায় বসতে না পারে, তাহলে তাদের একটা বছর নষ্ট তো হবেই। উপরন্তু, তাঁদের উপর এক ভয়ংকর মানসিক চাপ বাড়বে। এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি চন্দন মাইতি বলেন, ‘ এই মাধ্যমিক অ্যাডমিট কার্ড বিভ্রাটের দায় সম্পূর্ণ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। দীর্ঘদিন নির্বাচন না করিয়ে মনোনয়নের মাধ্যমে চলছে। যদি কোথাও কোনও অঘটন ঘটে, রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে দায়িত্ব নিতে হবে।’