প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: গত বছর আগস্ট মাসে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই সেখানকার সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নানা অত্যাচারের চিত্র ভেসে এসেছে। কখনও তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে তো কখনও আবার দেখা যাচ্ছে মন্দির, সম্পত্তি লুট চলছে। যার ফলে সে দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে গিয়েছে। আর তাঁর আঁচ পড়েছে এদেশেও। তাই এই কারণে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে (Supreme Court)।
বাংলাদেশের মামলা উঠল সুপ্রিম কোর্টে !
সূত্রের খবর সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে মামলাকারীর আবেদন করেছিল যে, সে দেশে থাকা সংখ্যালঘুদের ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে সাহায্য করা হোক। এবং কীভাবে সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা করবে এ বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিক আদালত। গতকাল অর্থাৎ সোমবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলাটি ওঠে। একটি জনপ্রিয় সংবাদ সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না সম্পূর্ণ বিষয়টি ভালো করে জানার পর তিনি বলেন, “এটি অন্য দেশের বিষয়। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট কীভাবে অন্য দেশের বিষয়ে মন্তব্য করতে পারে?”
কী বললেন প্রধান বিচারপতি?
এছাড়াও এদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না আরও বলেন যে, “এই বিষয়টি আদৌ আমাদের জন্য নয়। আপনার কী মনে হয়, সরকার এ বিষয়ে জানে না? আদালত এ বিষয়ে কী বলতে পারে? অন্য দেশের যে কোনও বিষয়ে সেটা ছোট হল বা বড়, সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা আদালতের পক্ষে খুব অদ্ভুত হবে, তার উপর বাংলাদেশ যেখানে ভারতের একটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র।”
শেষপর্যন্ত ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বাংলাদেশে চলমান সহিংসতার মধ্যে হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা চেয়ে দায়ের করা পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন (PIL) শুনানি গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে। এবং বেঞ্চের এই মন্তব্যের পর, আবেদনকারী তার আবেদন প্রত্যাহার করে নেয় এবং মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। তবে বাংলাদেশে হিংসা, দ্বন্দ্ব এবং প্রতিবাদ বিক্ষোভ এখনও স্পষ্ট রয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |