প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গত ৩ এপ্রিল ২০১৬ সালের এসএসসি-র (SSC) সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করা হয়েছিল। যার জেরে চাকরি হারিয়েছিল প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরিহারাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এরপরও যোগ্য-অযোগ্য কারা, সেই সংক্রান্ত পৃথক তালিকা প্রকাশের দাবি করে আসছে চাকরিহারারা। গত সপ্তাহে এসএসসি দপ্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে কমিশনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তাঁরা। আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, ২১ এপ্রিল যোগ্য-অযোগ্যর পৃথক তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু এবারেও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করল এসএসসি।
পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি চাকরিহারাদের
কথা ছিল গতকাল অর্থাৎ সোমবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘন্টা কেটে গেলেও কোনো তালিকা প্রকাশ্যে আসেনি। ঠিক রাত ১২ টা নাগাদ SSC বিবৃতি দিয়ে জানায়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশই মানা হবে। নির্দেশমাফিক যাঁরা বেতন পাচ্ছেন, কেবল তাঁরাই বেতন পাবেন এবং চাকরি করবেন। ঘটনাক্রমে একই কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও। আর তাতে চাকরিহারাদের মধ্যে ক্ষোভ আরও ভয়ংকর আকার নেয়। এর পর গভীর রাতে বিক্ষোভরত চাকরিহারাদের সঙ্গে দফায় দফায় ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের।
অযোগ্যদের বরখাস্তের দাবি শিক্ষকদের
সোমবারের পর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় স্লোগান উঠছে এসএসসি ভবনের সামনে। রাতভর অবস্থানের পর মঙ্গলবার নিজেদের দাবি থেকে কিছুটা সরলেন আন্দোলনকারী যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। এতদিন তাঁদের দাবি ছিল শীঘ্রই SSC যেন যজ্ঞ অযোগ্যের তালিকা প্রকাশ করে কিন্তু এখন তাদের দাবি যদি এসএসসি যোগ্য অযোগ্য তালিকা প্রকাশ করতে না পারে তাহলে তারা যেন যারা অযোগ্য তাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করে বা টারমিনেট করে। এসএসসি ভবনের সামনে ধর্না মঞ্চ থেকে স্লোগান ওঠে “হয় যোগ্যদের তালিকা, নয়তো অযোগ্যদের বরখাস্ত।”
আরও পড়ুনঃ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনেই… বিবৃতি SSC-র, মুখ খুললেন ব্রাত্য বসুও! বড় সিদ্ধান্ত চাকরিহারাদের
এদিকে এদিন আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষাকর্মীদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক সমিতি (জুটা)-ও। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এটি একটি প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। যোগ্য-অযোগ্যদের গুলিয়ে ফেলার চেষ্টা করছে সরকার। আমরা চাই অবিলম্বে ওদের দাবি মেনে যোগ্য-অযোগ্য তালিকা ঘোষণা করুক।” অন্যদিকে বিধাননগর পুলিশের ডিসি অনীশ সরকার শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ক্ষেত্রে আপত্তি তুলে নেন। কিন্তু তিনি জানিয়ে দেন পুলিশকর্মীদের কর্তব্যপালনে যাতে বাধা না-দেওয়া হয়, সে বিষয়েও যেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা সতর্ক থাকেন।
রাজ্য রাজনীতি, বিনোদন থেকে শুরু করে খেলা সংক্রান্ত নানা ধরনের খবরের লেটেস্ট আপডেট পেতে এখনই ফলো করুন আমাদের India Hood Bangla কে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |