জনগণনায় নেওয়া হবে লাখ লাখ কর্মী! মাসিক বেতন ৩৫ হাজার, বড় ঘোষণা কেন্দ্রের

Published on:

Digital Census 2026

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সাধারণত প্রতি দশ বছর অন্তর জাতীয় জনগণনা হয়। সেই রীতি মেনে জাতীয় জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে সেই সময়ে জনগণনা স্থগিত রাখা হয়েছিল। তার পরে চার বছর কেটে গিয়েছে। অবশেষে জাতীয় জনগণনা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। আর এই প্রথমবার ডিজিটাল পদ্ধতিতে (Digital Census 2026) দেশে দুই দফায় হবে জনগণনা। যার দরুন এবার এই কর্মকাণ্ডে বিপুল কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা নিল কেন্দ্রীয় সরকার।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

বিপুল কর্মী নিয়োগ!

কেন্দ্রের প্রাপ্ত রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পূর্ণ নিখুঁত তথ্য সংগ্রহের জন্য এবং দেশের রাজ্য, জেলা, শহর, গ্রাম প্রতিটি জায়গার নির্ভুল মানচিত্র তৈরি করতে এবার দেশ জুড়ে অনলাইন সমীক্ষাকেই ভরসা করতে চাইছে মোদি সরকার। প্রায় ৬ লক্ষ ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, যাতে প্রতিটি বাড়ির অবস্থান সঠিকভাবে নথিভুক্ত করা যায়।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই কাজের ক্ষেত্রে সরকার বিপুল কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাঁদের মাসিক পারিশ্রমিক দেওয়া হবে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

পার্ট-টাইম হিসেবেই কর্মী নিয়োগ!

যেহেতু প্রথমবার দেশে অনলাইনের মাধ্যমে জনগণনা করা হবে তাই সেক্ষেত্রে জনগণনা কর্মীদের বিশেষ প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা দেওয়া হবে। জানা গিয়েছে প্রায় ৩৫ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করা হবে। তাঁদের একটি বিশেষ অ্যাপ ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, যার মাধ্যমে প্রতিটি বাড়ি ও বাসিন্দার তথ্য জিও-ট্যাগ করে আপলোড করা হবে।

তবে সেক্ষেত্রে কর্মীদের এই কাজ ‘পার্ট-টাইম সম্মানিক ভিত্তিক’ হিসেবে কাজ হবে, কোনো নির্দিষ্ট এবং স্থায়ী চাকরির মতো নয়। জানা গিয়েছে,জনগণনার কাজের জন্য এই প্রথম ব্যবহার করা হবে Geospatial Technology।

নিয়োগের ক্ষেত্রে কী কী যোগ্যতার প্রয়োজন?

কেন্দ্রের এই জনগণনার (Digital Census 2026) কাজের ক্ষেত্রে কর্মীদের প্রাথমিক যোগ্যতা নিয়ে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে যাঁরা অন্তত উচ্চমাধ্যমিক পাস এবং মোবাইল ব্যবহার করতে সক্ষম, তাঁরা এই কাজে যুক্ত হতে পারবেন। অর্থাৎ এই কর্মক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক, পঞ্চায়েত কর্মী, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদেরও অগ্রাধিকার দেওয়া হতে পারে।

তিনটি বিষয়ের উপর জনগণনা হবে। এক, বাড়িতে ব্যক্তিসংখ্যা, তাদের আবাস সংখ্যা ও এক আবাসে কতজন বসবাস করেন সেটা। সেই সঙ্গে জাতি জনগণনাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১০% বাড়ল কাঁচা তেলের ব্যারেলের দাম! শুল্ক নিয়ে বড় ভাবনা কেন্দ্রের

কবে প্রকাশিত হবে মোট জনসংখ্যার সংখ্যা?

উল্লেখ্য, জনগণনার এই প্রকল্পে প্রথম ধাপ হাউস লিস্টিং অপারেশন শুরু হবে ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সেই সময় প্রতিটি বাড়ির অবস্থা, জল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা, ঘরের সংখ্যা ইত্যাদি তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে, অর্থাৎ ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য সহ জাত সম্পর্কিত নানা তথ্য বিস্তারিতভাবে নথিভুক্ত করা হবে। এরপর ১ মার্চ ২০২৭-এ নির্ধারিত হবে দেশের মোট জনসংখ্যার সংখ্যা।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group