সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সিঙ্গাপুরে স্কুবা ডাইভিং করতে গিয়ে প্রয়াত হয়েছেন অসমের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী জুবিন গর্গ (Zubeen Garg)। তাঁর ‘ইয়া আলি’ গান এখনও শুনলে হৃদয় কেঁপে ওঠে। তবে জনপ্রিয় গায়কের মৃত্যুর পর আলোচনায় উঠে এসেছেন তাঁর স্ত্রী গরিমা। যাকে অনেকেই চিনতেন না, তাকে এখন তাঁর স্বামীর খ্যাতি গোটা ভারতে চিনিয়ে দিয়েছে। তবে এরই মধ্যে সমালোচনার ঝড় বইছে একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে। আর তা হল স্বামীর মৃত্যুর পরেও তিনি সিঁদুর পরে চলেছেন! নেপথ্যে কী কারণ? জানালেন গরিমাদেবী নিজেই।
কীভাবে শুরু তাঁদের প্রেমের গল্প?
জানা যাচ্ছে, অসমের গোলাঘাটের মেয়ে গরিমা পেশায় একজন পোশাক শিল্পী। ছোটবেলা থেকেই সংগীত প্রেমী গরিমা জুবিন গর্গের কন্ঠে অনামিকা এবং মায়া অ্যালবাম শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। আর সেখান থেকেই তাঁদের গল্পের সূচনা। একদিন সাহস করেই জুবিন গর্গকে চিঠি লিখেছিলেন তিনি। আর সে সময় তিনি মুম্বাইতেই পড়াশোনা করছিলেন। জুবিনের মতো জনপ্রিয় শিল্পীর কাছে এরকম হাজার হাজার চিঠি পৌঁছত। তবে ভাগ্যক্রমে গরিমার চিঠির উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দু’জনের জীবন নতুন মোড় নেয়। চিঠি থেকে তৈরি হয় বন্ধুত্ব, আর তারপর ধীরে ধীরে প্রেম। দীর্ঘ কয়েক বছর সম্পর্কের পর ২০০২ সালে তাঁরা সাতপাকে বাঁধা পড়েন।
আরও পড়ুনঃ খরচ ৩.৩ লাখ! উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রের দেওয়া টাকায় তৃণমূল নেতাদের দিঘা ভ্রমণ?
তবে জুবিন এবং গরিমার সম্পর্ক সবসময় মসৃণ ছিল না বলেই জানা যায়। তাঁদের মধ্যে একসময় দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি মাসখানেক দু’জন আলাদাও ছিলেন বলে খবর। তবে সেই বিচ্ছেদ কিন্তু স্থায়ী হয়নি। আবারও তাঁরা একসঙ্গে ফিরে আসেন আর নতুন করে সংসার গড়ে তোলেন। তবে আকস্মিক গায়কের মৃত্যুর পর সমালোচকরা প্রশ্ন করছে, তিনি কেন সিঁথিতে সিঁদুর দিচ্ছেন? এই প্রশ্নের জবাবে গরিমা দেবী নিজেই বলেছেন, আমি আমার সিঁথি ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করেছি, এই সিঁদুর আমি সারাজীবন পরে থাকব। যতদিন না পর্যন্ত আমার আবারও জুবিনের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, আমি এই সিঁদুর পরা বন্ধ করব না।