মাশরুম চাষ থেকে মাসে ১০ লাখ আয়! ব্যবসার পথ দেখাচ্ছেন দম্পতি

Published on:

Mushroom Cultivation

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: করোনা মহামারীর সময় শুরু করা মাশরুমের চাষ আজ তার জীবনের সংজ্ঞাকে বদলে দিয়েছে! হ্যাঁ, আমরা বলছি বায়োটেকনোলজি সংস্থার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সোনিয়া দাহিয়ার কথা। তার পাশে ছিলেন স্বামী বিজয়ী দাহিয়া। 2020 সালে দুজনে মিলে শুরু করেছিলেন ডক্টর দাহিয়া মাশরুম ফার্ম। আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই সেই খামার থেকে এখন 9 থেকে 10 টন মাশরুম উৎপন্ন হচ্ছে, যা থেকে প্রায় মাসিক 9 লক্ষ টাকা পর্যন্ত পকেটে ঢোকাতে পারছেন তারা।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

শুরুটা কীভাবে হয়েছিল?

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রথমে তারা 40 লক্ষ টাকা নিজেদের সঞ্চয় থেকে বিনিয়োগ করে দুটি গ্রোইং রুম তৈরি করেছিল। পরে যুক্ত হয় আরও 5566টি মাশরুম ব্যাগ। তবে সমস্যা দেখা গিয়েছিল বাজার থেকে কেনা কম্পোস্টে,  যা থেকে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছিল না। আর সমাধান হিসেবে তারা নিজেরাই তৈরি করে ফেলেন কম্পোস্ট ইউনিট, যার জন্য আরও 20 লক্ষ টাকা ব্যয় করতে হল।

জানা যাচ্ছে, 2022 সালের মধ্যেই তারা দুটি নতুন গ্রোইং রুম তৈরি করে উৎপাদন বাড়িয়ে ফেলেন বহুগুণ। আর আজ তাদের মাশরুম পৌঁছে যাচ্ছে দিল্লির আজাদপুর, মান্ডি থেকে শুরু করে হোটেল, ধাবা, ক্যাটারিংসহ একাধিক বিয়ে বাড়ির অর্ডারে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

কোন কোন প্রজাতির মাশরুম চাষ হচ্ছে?

সূত্র বলছে, দাহিয়া ফার্মে বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে বাটন মাশরুম, অয়েস্টার মাশরুম, মিল্কি মাশরুম এবং পোর্টোবেলো মাশরুম। তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, মাশরুমের গুনমান এতটাই ভালো, যে প্রচার না করেও শুধুমাত্র মুখে মুখেই সুনাম ছড়িয়ে পড়ছে। এমনকি দৈনিক প্রায় 50 কেজি মাশরুম বিক্রি হয় স্থানীয় ক্রেতাদের কাছে।

আরও পড়ুনঃ ৮৫০০০০০০০০০০০০০ টাকা বিনিয়োগ! ১৫ ব্র্যান্ডকে নিয়ে নয়া কোম্পানি খুলছেন আম্বানি

মহিলাদের জন্য তৈরি হয়েছে কর্মসংস্থান

তবে সবথেকে বড় ব্যাপার, আজ দাহিয়ার এই খামারে কাজ করছে আশেপাশের গ্রামের 20 জন মহিলা। সোনিয়া দাহিয়া মনে করছেন যে, নারীদের আর্থিক স্বনির্ভরতা না থাকলে সমাজে কোনোভাবেই সম্মান আসে না। তাই শুধুমাত্র নিজের স্বপ্ন নয়, বরং এই খামার থেকে গ্রামীণ মহিলাদেরও স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সোনিয়া এবং বিজয় শুধুমাত্র ব্যবসা করছেন না। বরং নতুন উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন। হ্যাঁ, তাদের ওয়ার্কশপে স্পন সংগ্রহ, চাষের প্রক্রিয়া, কম্পোস্ট তৈরির পদ্ধতিও শেখানো হচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা থেকে শুরু করে তরুণ উদ্যোক্তা, সবাই এই প্রশিক্ষণের প্রতি ভরসা রাখছে এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছে।

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
Join Group