জামশেদপুরঃ টাটা গোষ্ঠী ভারতের অন্যতম প্রাচীন ও জনপ্রিয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। ১৮৬৮ সালে জামশেদজি টাটা দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই শিল্পগোষ্ঠী ভারতীয় শিল্পায়নের পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। টাটা গোষ্ঠী ভারতের বিভিন্ন খাতে, যেমন ইস্পাত, অটোমোবাইল, তথ্যপ্রযুক্তি, বিদ্যুৎ, এবং কনজিউমার পণ্য, উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। টাটা স্টিল ১৯০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত, ভারতকে আত্মনির্ভরশীল ইস্পাত উৎপাদনের ক্ষমতা প্রদান করেছে। টাটা মোটরস ভারতীয় অটোমোবাইল শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি সমাজসেবামূলক অনেক কাজ করে থাকে এই শিল্প সংস্থা।
এছাড়াও টাটা গোষ্ঠী ভারতের একটি শহর তৈরির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আমরা অনেকেই হয়তো জানি জামশেদপুর শহর সম্পর্কে। এই শহরটি টাটানগর নামেও পরিচিত। ভারতে অবস্থিত সবথেকে সুন্দর শিল্পশহরের মধ্যে এটি একটি। পরিকল্পিত এই শহরে রাস্তাঘাট থেকে, স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এবং আরো অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়। তবে এবার জামশেদপুরের মতো আরেকটি শহর তৈরি করতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী। শোনা যাচ্ছে, টাটানগরের থেকেও আরো সুন্দরভাবে এই শহরকে গড়ে তুলবে রতন টাটার শিল্প সংস্থা।
দ্বিতীয় টাটানগর তৈরির পরিকল্পনা
টাটা গোষ্ঠী এবার ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে একটি পরিকল্পিত শহর নির্মাণ করতে চলেছে। ইতিমধ্যে এই শহর তৈরির পরিকল্পনা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। কিছুদিন পরেই শহর তৈরির কাজ শুরু করতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী। আর এই শহরটি গড়ে উঠবে তামিলনাড়ু রাজ্যে। সেখানে আরও উন্নতমানের পরিষেবা মিলবে বলে জানা গিয়েছে। এই শহরের রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ ও হাসপাতালে আরও ভালো পরিষেবা মিলবে। সব মিলিয়ে দক্ষিণ ভারত এখন তৈরি হচ্ছে টাটা গোষ্ঠীর তৈরি দ্বিতীয় শিল্প শহর দেখার জন্য।
কোথায় হচ্ছে এই পরিকল্পিত শিল্পশহর?
তামিলনাড়ুর হসুরের কাছে থিমজেপল্লী নামে যে একটি গ্রাম রয়েছে। এই গ্রামে একটি ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। ভারতের একমাত্র এই ফ্যাক্টরিতে iPhone তৈরি করা হয়। এই ফ্যাক্টরিতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ কাজ করেন। আর সেখানেই এবার ঝাঁ-চকচকে একটি শহর নির্মাণ করতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী। এর জন্য ৫০০ কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। জানা গেছে, শহরে ১৪ টি ব্লক তৈরি হবে, যেখানে ৩,০০০ ফ্ল্যাট তৈরি করা হবে। তবে এই নতুন শহরের নাম কি দেওয়া হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। সমস্ত বিষয়ে বিষদ তথ্য আসতে এখনো বেশ কয়েকমাস সময় লাগবে।