বছর গেলে ভালো আয়, এবার হোমস্টে চালানোর প্রশিক্ষণ দেবে রাজ্য সরকার

Published on:

government of west bengal homestay

প্রীতি পোদ্দার, শিলিগুড়ি: বাঙালির কাছে ছুটি মানেই পাহাড় ভ্রমণ। ঘুরতে গিয়ে শহুরে কোলাহল নয়, নিরিবিলি এলাকাকেই পর্যটকদের একটা বড় অংশের প্রথম পছন্দ। তাইতো সেক্ষেত্রে পাহাড় সেরা। এদিকে পর্যটনকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে পর্যটন শিল্প। অর্থাৎ এক কথায় পুরো অর্থনৈতিক অবস্থা নির্ভর করছে এই শিল্পের ওপর। আর এই শিল্পকে আরও উন্নত করে তুলতে এবার নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।

হোমস্টে তৈরিতে বড় পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

WhatsApp Community Join Now

পর্যটন দফতর সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে রাজ্যে প্রথমবার ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল হোমস্টে পলিসি’ তৈরি হয়েছিল। ২০১৯ ও ২০২২ সালে ওই পলিসির সংযোজন, সংশোধন করা হয়। এবং নতুন আইন তৈরি করা হয়। কিন্তু এর মাঝে করোনার দাপটে সেই পলিসির অনেক ক্ষতি হয়। ২০২০-২১ সাল অবধি পর্যটন শিল্পে নেমে আসে মন্দার ছায়া। আসলে উত্তরের অর্থনৈতিক গঠন সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে পর্যটন শিল্পের ওপর। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে হোমস্টে তৈরিতে উৎসাহ দেওয়া শুরু হয়।

জানা গিয়েছে হোমস্টে পলিসি মেনে হোমস্টে তৈরি করে তা সরকারি নথিভুক্ত করানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই পলিসির অন্তর্গত সরকারি স্তরে হোমস্টেগুলো ঠিকঠাকভাবে তৈরি করে পর্যটকদের পরিষেবা প্রদান করছে কি না তা নিয়ে চলছে সমীক্ষাও। কিন্তু এবার সরকার শুধু সমীক্ষার ওপর নির্ভর করে পর্যটন শিল্পকে উন্নতির মাত্রা প্রদান করতে চাইছে না। তাই রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শুরু হতে চলেছে ভিডিয়ো প্রশিক্ষণ কোর্সের মেটিরিয়াল।

এই প্রসঙ্গে পর্যটন দফতরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুগ্ম সচিব জানিয়েছেন , ‘‘রাজ্যের হোমস্টে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সরকারি ভাবে হোমস্টেগুলোর উন্নতির কাজ চলছে। আর সেই লক্ষ্যে ভিডিয়োর মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানান, “যেহেতু পাহাড় বা সমতল সর্বত্র হোমস্টে রয়েছে। তাই এলাকা ধরে ধরে হোমস্টের মালিক, কর্মীদের ভিডিয়ো সহযোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতে পর্যটন শিল্প আরও উন্নত হবে।”

ভিডিয়োর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে

সমীক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর অবধি রাজ্যের ২৩টি জেলায় হোমস্টের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ২৩৭৩টি। সবচেয়ে বেশি হোমস্টে ছিল কালিম্পং জেলায়। যেখানে হোমস্টের সংখ্যা ছিল ১০৭০টি। দার্জিলিঙে ৩১০টি, জলপাইগুড়িতে ১৩৮টি হোমস্টে নথিভুক্ত হয়েছে। তবে সবচেয়ে কম হোমস্টে রয়েছে পশ্চিম বর্ধমানে। সেখানে হোমস্টের সংখ্যা মাত্র তিনটি। আর এই সংখ্যা আরও বাড়ানোর জন্য এবং শিল্প আরও উন্নত মানের জন্য হোমস্টে কীভাবে পরিচালনা করতে হবে তাই নিয়েই মূলত ভিডিয়োগুলো তৈরি করতে হবে।

পাশাপাশি গেস্টদের থাকা, খাওয়া, মনোরঞ্জন সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে কী কী দেখা প্রয়োজন তা শেখানোর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি রাঁধুনি কী কী সতর্কতা মেনে করতে হবে সবটাই ভিডিয়োয় মাধ্যমে দেখানো হবে। সব মিলিয়ে সার্বিক পরিষেবা, পরিকাঠামো, আবর্জনা প্রক্রিয়াকরণ, হাউসকিপিং থেকে শুরু করে হোমস্টে ঘিরে স্থানীয় সংস্কৃতি বা কৃষ্টিকে তুলে ধরতে ভিডিয়োগুলি অনেকটাই কাজে লাগবে বলে মনে করছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

সঙ্গে থাকুন ➥
X