ট্রেন থেকে চুরি গিয়েছিল ব্যাগ, সাত বছর পর যাত্রীকে ৪.৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিল রেল

Published on:

amarkantak express

কলকাতাঃ উৎসবের আবহে আচমকা বড় ঘোষণা করল রেল (Indian Railways)। আর রেল এমন এক ঘোষণা করেছে যারপরে রেল যাত্রীর পকেট ভরতে চলেছে। আপনারা প্রায়ই রেলস্টেশন, বাস স্টেশন ও সাধারণ মানুষে গমগম করছে এমন কিছু জায়গায় লেখা থাকে যে পথচারীকে তার লাগেজ রক্ষায় ‘যথাযথ পদক্ষেপ’ নিতে হবে। আবার অনেক জায়গায় এও লেখা থাকে যে মাল নিজের দায়িত্বে রাখুন। কিন্তু অমরকণ্টক এক্সপ্রেসে কয়েক বছর আগে এমন এক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়, যা নিয়ে বড় নির্দেশ দেওয়া হল। চুরি রুখতে ব্যর্থ হওয়ায় রেলকে এবার যাত্রীকে উল্টে ৪.৭ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন।

রেলকে মোটা অঙ্কের জরিমানা

WhatsApp Community Join Now

এনসিডিআরসি-র দেওয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘বহিরাগতদের’ রিজার্ভ কোচে ঢুকতে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে টিটিই তার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। যার কারণে যাত্রীর লাগেজ চুরি হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালের মে মাসে অমরকণ্টক এক্সপ্রেসে। এই বিষয়ে সোমবার ন্যাশনাল কনজিউমার কনজিউমার্স রিসোর্স রিড্রেসাল কমিশন (এনসিডিআরসি) এই নির্দেশ দিয়েছে।

রেলের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে রেলওয়ে আইনের ১০০ ধারা অনুসারে, যতক্ষণ না কোনও রেলকর্মী লাগেজ বুক করে রশিদ দিচ্ছেন, ততক্ষণ তার ক্ষতি বা চুরির জন্য রেল প্রশাসনকে দায়ী করা যায় না। এদিকে রেলের এই আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে ওই যাত্রীকে মানসিক কষ্ট দেওয়ার জন্য রেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এনসিডিআরসি-র বিচারপতি সুদীপ আলুওয়ালিয়া এবং বিচারপতি রোহিত কুমার সিংয়ের বেঞ্চ জানিয়েছে, “সবকিছু বিচার করে আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে রেলওয়ে চুরির জন্য দায়ী সংশ্লিষ্ট রেল কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে আবেদনকারীকে (যাত্রী) দেওয়া পরিষেবায় ঘাটতি ছিল।”

কী ঘটেছিল?

এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কী ঘটেছিল? ২০১৭ সালের ৯ মে দিলীপ চতুর্বেদী ও তাঁর পরিবার কাটনি থেকে স্লিপার কোচে করে দুর্গ যাচ্ছিলেন। এরপর তিনি রেল পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেন যে রাত আড়াইটে নাগাদ তাঁর ৯.৩ লক্ষ টাকার নগদ ও জিনিসপত্র চুরি হয়ে যায়। এরপরে তিনি দুর্গ জেলা গ্রাহক কমিশনে একটি মামলা দায়ের করেন, যা দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য রেলওয়ের জিএম, দুর্গ স্টেশন মাস্টার এবং বিলাসপুর জিআরপি স্টেশনের ইনচার্জকে দাবি করা টাকা প্রদানের নির্দেশ দেয়। কিন্তু রাজ্য কমিশনের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জেলা কমিশনের নির্দেশ খারিজ করে দেওয়া হয়।

এর পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ চতুর্বেদী এনসিডিআরসি-র কাছে একটি রিভিশন পিটিশন দাখিল করে বলেছিলেন যে টিটি এবং রেলওয়ে পুলিশ কর্মীরা সংরক্ষিত কামরায় বহিরাগতদের ঢোকার অনুমতি দিয়ে গাফিলতি করেছিলেন। তার আইনজীবী বলেছিলেন যে চুরি হওয়া জিনিসগুলি যথাযথভাবে শিকল দিয়ে বাঁধাছিল। তারপরেও এই ঘটনা ঘটে যায়।

সঙ্গে থাকুন ➥
X