পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বাজেট ২০২৫ (Budget 2025) আসতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। প্রতি বছরের মত এবারেও নতুন বাজেট নিয়ে প্রচুর প্রত্যাশা রয়েছে আমজনতার। কারণ বাজেটে হওয়া ঘোষণা প্রতিটা দেশবাসীর উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম থেকে শুরু করে আয়ের উপর দেওয়া ইনকাম ট্যাক্স সবটাই পাল্টে যেতে পারে বাজেটের ঘোষণার ভিত্তিতে। তবে এবছর অনেকেরই নজর থাকবে ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্টসের দিকে।
বাজেটে সস্তা হবে ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্ট?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারেবারে ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রশংসা করেছেন ও সময়ের সাথে সাধারণ মানুষকে আরও বেশি করে ডিজিটাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করার জন্য উৎসাহী করেছেন। এক্ষেত্রে যদি ফোন, ল্যাপটপ, টিভি ইত্যাদির দাম কমে তাহলে একদিকে যেমন বিক্রি বাড়বে তেমনি ডিজিটাল ইন্ডিয়ারও প্রসার ঘটবে। তাই বাজেটে এই ধরণের দ্রব্যের দাম কমানো হবে কি না তা জানতে বেশি উৎসাহী কমবেশি সকলেই।
আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি ২০২৫ যদি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামান বাজেট পেশ করার সময় ইলেক্ট্রনিক প্রোডাক্টস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণের উপর ইমপোর্ট ডিউটি কমানোর কথা ঘোষণা করেন তাহলেই সমস্ত ইলেক্ট্রনিক্স দ্রব্যের দাম কমার সম্ভাবনা থাকছে।
কম দামে মিলতে পারে মোবাইল, স্মার্ট টিভি, ল্যাপটপ
ইলেক্ট্রনিক্স প্রোডাক্ট বলতে শুধুমাত্র মোবাইল নয়, বরং স্মার্ট টিভি থেকে শুরু করে ল্যাপটপেও প্রচুর স্পেয়ার পার্টসের প্রয়োজন হয়। যা ইমপোর্ট করার জন্য প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে মোটা ইমপোর্ট ডিউটি দিতে হয়। কিছুদিন আগেই অর্থমন্ত্রীকে এই ইমপোর্ট ডিউটি কমানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তাই ছাড় ঘোষণা করা হলেই এই ধরণের সমস্ত প্রোডাক্ট আরও সস্তা হয়ে যাবে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ চিনকে শায়েস্তা করাই লক্ষ্য, ভারতের থেকে ব্রহ্মোস কিনছে আরেক দেশ! চুক্তি ৩৮০০ কোটির
কমতে পারে মোবাইল ফোন ব্যবহারের খরচও
বর্তমানে কমবেশি সকলেই বাড়তে থাকা মোবাইল রিচার্জ প্ল্যানের দামের জেরে চাপে রয়েছেন। এক্ষেত্রে টেলিকম কোম্পানিগুলির যুক্তি প্রযুক্তির উন্নতি ও কাঠামোগত খরচ বেড়ে চলেছে। তাই যদি টেলিকম কোম্পানিগুলি লাইসেন্স ফি ও ইউনিভার্সাল সার্ভিস অবলিগেশন ফান্ড কমানোর জন্য দাবি জানিয়েছে। এখন অপেক্ষা ১লা ফেব্রুয়ারির, সেদিনেই জানা যাবে দাবি পূরণ হবে কি না!