নয়া দিল্লিঃ বর্তমান মেয়ে সন্তান থেকে শুরু করে পূর্ণবয়স্ক মহিলা, বৃদ্ধাদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে নানারকম কাজ করছে সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার মহিলাদের জন্য নানারকম প্রকল্প চালাচ্ছে, যার জন্য উপকৃত হচ্ছেন মহিলারা। আজ এই প্রতিবেদনে তেমনই একটি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করা হবে যার দরুন ১০০০ টাকা করে পেয়ে যেতে পারেন আপনিও।
ভারতে এখনও অবধি অনেক বাড়ি এমন রয়েছে যেখানে কন্যা সন্তান হলেই মাথায় হাত পরে যায়। এখনও কন্যাভ্রূণ হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে ভারতে। মেয়ে সন্তান মানেই এখনও অবধি ‘বোঝা’ ভাবেন অনেকে। যদিও সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে মানুষের মনও পাল্টাচ্ছে। বর্তমান সময়ে দেশে একটি প্রকল্প চলছে যা মহিলাদের তাদের কন্যা সন্তান জন্মের সময় আর্থিক সহায়তা দেয়। এ ছাড়া সরকারও পড়াশোনার জন্য ব্যয় করে।
মহিলাদের জন্য বিশেষ প্রকল্প
আজ এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হচ্ছে সেটার নাম হল ‘বালিকা সমৃদ্ধি যোজনা’। ১৯৯৭ সালে চালু করা হয় এই প্রকল্প। কন্যাশিশুদের নিরাপদে রেখে তাদের শিক্ষা সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার জন্য মূলত এই প্রকল্প চালু করা হয়। দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী বিপিএল পরিবারে জন্ম নেওয়া কন্যাদের এই সুবিধা দেওয়া হয়। বালিকা সমৃদ্ধি যোজনার আওতায় কন্যা সন্তানের জন্ম থেকে শুরু করে তার শিক্ষা পর্যন্ত বছরের পর বছর ধরে সরকার আর্থিক খরচ বহন করে।
১০০০ টাকা অবধি আর্থিক সাহায্য করে সরকার
প্রথমত, কন্যা সন্তানের জন্মের পর মাকে ৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এর পরে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনার জন্য প্রতি ধাপে ধাপে সরকারের পক্ষ থেকে কয়েক টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। যেমন এই প্রকল্পে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া মেয়েকে ৩০০ টাকা, চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াকে ৫০০ টাকা, পঞ্চম শ্রেণিতে ৬০০ টাকা, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণিতে ৭০০ টাকা, অষ্টম শ্রেণিতে ৮০০ টাকা এবং নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় ১০০০ টাকা দেওয়া হয় সরকারের তরফে।
কী কী নথি লাগবে
আপনিও যদি এই স্কিমের সুবিধা নিতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই কিছু নথি থাকতে হবে। যেমন আধার কার্ড, রেশন কার্ড, জন্ম শংসাপত্র, পিতামাতার পরিচয়পত্র, আয়ের শংসাপত্র, রেসিডেন্স সার্টিফিকেট, ব্যাঙ্ক পাসবই, পাসপোর্ট সাইজ ছবি ইত্যাদি।
কীভাবে আবেদন করবেন
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কীভাবে আবেদন করবেন? তাহলে জানিয়ে রাখি, যেকোনও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রে গিয়ে ফর্ম নিয়ে এর জন্য আবেদন করা যায়। এরপর তথ্য পূরণ করে জমা করতে হবে।